হিন্দি সিনেমার জন্য একটি চ্যালেঞ্জে পরিপূর্ণ বছর গেলো ২০২৪ সাল। বছরটিতে হিন্দি সিনেমার বক্স অফিসের মোট আয় ৫,৩৮০ কোটি রুপি থেকে ৪,৬৭৯ কোটি রুপিতে নেমে আসে। অর্থাৎ ১৩ শতাংশ হ্রাস পায়।
সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ব্যাপারটি হলো, ভারতের বক্স অফিসে হিন্দি সিনেমার অংশীদারিত্ব ৪৪ শতাংশ থেকে ৪০-এ নেমে গেছে। আর এটি ভারতের আঞ্চলিক ইন্ডাস্ট্রিগুলোর এগিয়ে যাওয়াকেও ইঙ্গিত করে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।
তবে অভিজ্ঞ সিনে-বাণিজ্য বিশ্লেষক তারাণ আদর্শ বলিউড হাঙ্গামাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে জানান, ২০২৪ সালে কম সংখ্যক হিন্দি সিনেমা মুক্তির কারণেই বক্স অফিসে আয় কমেছে।
তিনি বলেন, “কোন কোন সপ্তাহে কোন সিনেমাই মুক্তি পায়নি। এটি একটি বড় সমস্যা ছিল গত বছর। আবার কোন কোন সপ্তাহে দেখা গেল প্রচন্ড ভিড়। গত বছরটা হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি একটু বুঝে শুনে পা ফেলেছে। নিজেদের সংশোধনের চেষ্টা করেছে। ফলে এ বছর কম সিনেমা মুক্তি পেয়েছে।”
তিনি আরও বলেন, “প্রযোজকরা শুধু অর্থের অঙ্ক নিয়েই চিন্তিত। হ্যাঁ, অর্থনীতির দিকটি দেখা গুরুত্বপূর্ণ; আমি সেটা অস্বীকার করছি না। কিন্তু এটাই সব হওয়া উচিৎ নয়। ভালো গল্প আর বড় তারকা, অথবা যাই হোক, বাজেট নির্ধারণের ক্ষেত্রে যার যা মূল্য তাই দেওয়া উচিৎ।”
২০২৪ সালে হিন্দি সিনেমার অন্যতম বড় সংকট ছিল দক্ষিণ ভারতীয় সিনেমার ডাব করা সংস্করণের উপর অতিরিক্ত নির্ভরশীলতা। এই সিনেমাগুলো হিন্দি বক্স অফিস আয়ের মোট ৩১% জোগান দিয়েছে। যে কারণে হিন্দি সিনেমাগুলোর আয় হ্রাস পেয়েছে ৩৭ শতাংশ।
২০২৪ সালে, মালায়ালম এবং তেলেগু সিনেমার বাজারও বৃদ্ধি পেয়েছে। আর অন্যদিকে হিন্দি সিনেমার বাজার বেশ কিছুটা কমে গিয়েছে।
দক্ষিণী সিনেমার হিন্দি ডাবিং-এ অবশ্য সমস্যা দেখছেন না তারণ আদর্শ। তিনি বরং এটিকে ভারতীয় সিনেমার জন্য ইতিবাচক মনে করছেন।
এ বিষয়ে তিনি বলেন, “ ভারতের আঞ্চলিক তারকারা আজ বড় তারকা হয়ে উঠেছে। যেমন, আল্লু আর্জুন, প্রভাস বা রাম চরণের কথা বলতে পারি। যখন আমি দেখি মানুষ অনুযোগ করে বলছে যে এগুলো তো দক্ষিণ ভারতীয় ছবি। আমি তাদের উদ্দেশ্যে বলবো, এভাবে আলাদা করে দেখা কোন দরকার নেই। আমরা সবাই এক ছাতার নিচেই আছি। আর তা হলো ভারতীয় সিনেমা।”