বিপিএলের প্রায় অর্ধেক শেষ হলেও টাকা পাননি দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটাররা। এজন্য ক্ষোভ জানিয়ে অনুশীলন বয়কট করেছিলেন রাজশাহীর খেলোয়াড়রা। এরপরই নড়েচড়ে বসে বিসিবি।
বিসিবির একটি সূত্র জানায়, বোর্ড সভাপতি ফারুক আহমেদ এ নিয়ে কথা বলেছেন দুর্বার রাজশাহীর অধিনায়ক এনামুল হক বিজয় ও ফ্র্যাঞ্চাইজি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে। আজকের (বৃহস্পতিবার) মধ্যে খেলোয়াড়দের টাকা না দিলে মালিকানা হারানোর হুশিয়ারিও রাজশাহীকে দেন ফারুক আহমেদ।
এরপরই নড়েচড়ে বসে ফ্র্যাঞ্চাইজিটি। বিসিবি ও ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের আশ্বাসে আজ সকালে চট্টগ্রামের এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুশীলনে ফেরেন খেলোয়াড়রা।
অনুশীলন শেষে দলের ম্যানেজার মেহরাব হোসেন অপি সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘‘পারিশ্রমিকের জন্যই ক্রিকেটাররা খেলে। বিপিএল তাদের আয়ের বড় উৎস। ৩ তারিখে পেমেন্ট হওয়ার কথা ছিল। খেলার মাঠেই তার (মালিক) স্ত্রী অসুস্থ হন। বুকে বলের আঘাত লাগে। তিনি দেশের বাইরে যাওয়ায় পেমেন্ট দেরি হয়। গতকাল কথা হয়েছে, তিনি আশ্বস্ত করেছেন আজকের মধ্যেই ২৫ শতাংশ পেমেন্ট হয়ে যাবে।’’
মালিকের স্ত্রীর বলের আঘাত পাওয়ার ব্যাখ্যায় রাজশাহীর অপারেশন ইনচার্জ জায়েদ আহমেদ বলেছেন, ‘‘আপনারা জানবেন যে ঢাকায় আমাদের শেষ ম্যাচে মালিকের স্ত্রীর গায়ে একটা বল লেগেছিল এবং হাড়ে চিড় ধরা পড়ে। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে ব্যাংকক নিয়ে যেতে হয়েছিল। ফোনে ব্যাংক ক্লিয়ারেন্সের ব্যাপার থাকে। মালিককে ফোনে পাবে না, তাই আমরা আগেরদিনই খেলোয়াড়দের জানিয়ে দিয়েছিলাম তোমরা চেকগুলো জমা দিও না।’’
পারিশ্রমিকের ২৫ শতাংশ নগদ আর ২৫ শতাংশ চেকের মাধ্যমে আজ (বৃহস্পতিবার) হয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতিও দিয়েছেন অপি। আর খেলোয়াড়দের কিটব্যাগ না পাওয়া নিয়ে তার ব্যাখ্যা, ‘‘বিপিএল আয়ের উৎস, আয় না থাকলে মান-অভিমান চলে আসে। সেখান থেকে খেলোয়াড়রা এই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। আমরা তাদের বিশ্রামের জন্যই বলেছিলাম। পরে যেটা হয়েছে তা আমরাও চাইনি। কিট ব্যাগ ভারত থেকে অর্ডার করেছিলাম। হেলমেট, প্যাড ও গ্লাভস এসেছে। কিট ব্যাগ আনা হয়নি, বড় একটা কারণ ছিল। ইমিগ্রেশন থেকে ছাড়পত্র হয়নি। অন্যান্য দল হয়ত আরও আগে থেকে শুরু করেছিল।’’