Beta
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫

‘সংক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা’র মিছিলে পুলিশের লাঠি-সাউন্ড গ্রেনেড

ঢাকার সেগুনবাগিচায় শিক্ষাভবনের সামনে সংক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
ঢাকার সেগুনবাগিচায় শিক্ষাভবনের সামনে সংক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতার মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
[publishpress_authors_box]

‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতার’কর্মসূচিতে হামলার প্রতিবাদে আয়োজিত মিছিল অংশগ্রহণকারীদের লাঠিপেটা করেছে পুলিশ। সেই সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গও করে দেওয়া হয়। এসময় এক সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হন।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকার সেগুনবাগিচায় শিক্ষাভবনের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

মাধ্যমিকের পাঠ্যবইয়ে ‘আদিবাসী’ শব্দসংবলিত গ্রাফিতি পুনর্বহালের দাবিতে বুধবার এনটিসিবি ভবনের সামনে কর্মসূচি পালন করতে যায় ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’ নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা। এসময় তাদের ওপর হামলা চালানো হয়।

সেই হামলার প্রতিবাদ জানাতে ‘সংক্ষুব্ধ ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে সচিবালয় ঘেরাও করতে যান একদল বিক্ষোভকারী। তবে তারা সচিবালয়ের দিকে যাওয়ার আগেই পুলিশ ধাওয়া দেয় এবং তাদের ছত্রভঙ্গ করে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে তাদের লাঠিপেটাও করে পুলিশ।

এতে আহত হন বেসরকারি ইন্ডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের ভিডিও জার্নালিস্ট বাবু (৫৪), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নেবুলা (২৫), ইভান (২২), নুরুজ্জামান (২২), সুমাইয়া (২৩), পঙ্কজ নাথ (৩০) ও পথচারী বাবুল (৩৫)।

আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

আহতরা জানান, বুধবার পাহাড়ি শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার প্রতিবাদ জানাতে তারা বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে জড়ো হন। সেখান থেকে মিছিল নিয়ে দোয়েল চত্বর হয়ে সচিবালয়ের দিকে যাওয়ার পথে শিক্ষা ভবনের সামনে পুলিশ তাদের আটকে দেয়। এক পর্যায়ে পুলিশ বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিপেটা করতে শুরু করে।

পুলিশ জলকামান ও দুটি সাউন্ড গ্রেনেডও ব্যবহার করে।

ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ পরিদর্শক মো. ফারুক জানান, সাতজনকে আহত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজে নেওয়া হয়েছিল। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাদের হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

পুলিশের রমনা বিভাগের উপকমিশনার মো. মাসুদ আলম সাংবাদিকদের বলেন, “বিক্ষোভকারীদের দাবির সঙ্গে আমাদের কোনো দ্বিমত নেই। আমাদের উদ্দেশ্য তাদের মারা নয়, আমরা শুধু তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছি।

“আমরা আজ তাদের সবাই মিলে সচিবালয়ে না গিয়ে একটি প্রতিনিধি দলকে পাঠাতে বলেছিলাম। কিন্তু তারা আমাদের পরামর্শ না শোনায় তাদের ছত্রভঙ্গ করে দিই।”

ইউপিডিএফের নিন্দা

পুলিশের লাঠিপেটা ও সচিবালয় অভিমুখী মিছিল ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রামের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল প্রসিত খীসার নেতৃত্বাধীন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট (ইউপিডিএফ)।

বিকালে তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় এক বিবৃতিতে দলটির কেন্দ্রীয় সহসভাপতি নূতন কুমার চাকমা বলেন, “শান্তিপূর্ণ মিছিলে পুলিশের হামলা অত্যন্ত ন্যাক্কারজনক। এই হামলা পতিত ফ্যাসিস্ট হাসিনা সরকারের আমলের পেটোয়া পুলিশের ভূমিকাকে স্মরণ করিয়ে দেয়।”

তিনি অবিলম্বে হামলার সঙ্গে জড়িত পুলিশ সদস্যদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।

ইউপিডিএফের প্রচার বিভাগের প্রধান নিরন চাকমার সই করা বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বিনা প্ররোচনায় পুলিশ লাঠি, জলকামান ও সাউন্ড গ্রেনেড দিয়ে হামলা চারিয়েছে। এতে তৈয়ব ইসলাম, জাহিদুল ইসলাম রিয়াদ, তাসমিয়া নেবুলা, এমডি ইব্রাহিম, মন, ইভান, সুমাইয়া, মো. বাবু (পথচারী), মারুফ ভুঁইয়া, পঙ্কজ নাথ সূর্য ও বাহাদুর ত্রিপুরাসহ অনেকে আহত হয়েছেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত