Beta
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারি, ২০২৫
অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র

ঐক্যে ফাটল চায় না বিএনপি; দূরত্ব দেখছেন না আসিফ নজরুল

ফরেইন সার্ভিস একাডেমিতে বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা। ছবি : পিআইডি
ফরেইন সার্ভিস একাডেমিতে বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা। ছবি : পিআইডি
[publishpress_authors_box]

জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র তৈরি করতে গিয়ে যেন ঐক্যে ফাটল না ঘটে, অন্তর্বর্তী সরকারকে সেদিকে নজর রাখতে বলেছে বিএনপি। আর উপদেষ্টা আসিফ নজরুল বলেছেন, এই ঘোষণাপত্র নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সরকারের কোনও দূরত্ব নেই।

জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রণয়নে বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে সর্বদলীয় বৈঠকের পর তারা সাংবাদিকদের একথা জানান।

এই সভায় বক্তব্যে ড. ইউনূস অভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষা পূরণে এক হয়ে পাশে থাকতে রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, “এ সরকারের জন্ম হয়েছে ঐক্যের মাঝখানে, ঐক্যের দ্বারা এটা সৃষ্টি। যখন আমরা নিজেরা নিজেরা কাজ করি, তখন দেখি একা পড়ে গেছি, আশেপাশে কেউ নেই আপনারা। তখন একটু দুর্বল মনে করি। যখন আবার সবাই একসঙ্গে কাজ করি, তখন মনের মধ্যে সাহস বাড়ে।”

অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের গুরুত্ব তুলে ধরে ড. ইউনূস বলেন, “এটা নিয়ে সর্বসম্মতিক্রমে যদি দেশের সামনে আসতে পারি, তা দেশের জন্য ভালো। আন্তর্জাতিকভাবেও ভালো। সবাই দেখবে যে এ জাতির মধ্যে বহু ঠোকাঠুকি হয়েছে, কিন্তু নড়ে না। স্থির হয়ে আছে, শক্ত হয়ে আছে।”

বৈঠকে বিএনপির পক্ষে প্রতিনিধিত্ব করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।

আলোচনা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “মাননীয় প্রধান উপদেষ্টা আজকে আমাদের আহ্বান করেছিলেন। আমরা এসেছি, কথা বলেছি। আমরা আমাদের পরামর্শ, রাষ্ট্র পরিচালনাসহ বিভিন্ন বিষয়ে যেসব চিন্তা-ভাবনা আমাদের দেওয়া প্রয়োজন, সেটা দিয়েছি।”

গণঅভ্যুত্থান যে ঐক্য সৃষ্টি করেছে, তা ধরে রাখার ওপর জোর দিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, “সেই ঐক্যকে ধরে রেখে যেন জাতিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারি, সেটাই আমাদের এখনকার জন্য সবচাইতে বড় চ্যালেঞ্জ৷

“আমাদের সেই প্রচেষ্টার জন্য ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দলকে নিয়ে একটি অন্তর্ভুক্তিমূলক রাজনৈতিক বক্তব্য আমরা দিতে চাই৷ এখন কোনও ফ্যাসিবাদী শক্তি বা ফ্যাসিবাদের দোসররা যাতে যেকোনো রকমের অনৈক্যের বীজ আমাদের ভেতরে বপণ করতে না পারে, সেদিকে আমাদের লক্ষ রাখতে হবে।”

সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দিতে ফরেইন সার্ভিস একাডেমিতে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ।
সর্বদলীয় বৈঠকে যোগ দিতে ফরেইন সার্ভিস একাডেমিতে বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন আহমদ।

পাঁচ মাস পর জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের উদ্যোগ কেন, সেই প্রশ্ন বৈঠকে রেখেছেন বলে জানান বিএনপি নেতা সালাহউদ্দিন।

তিনি বলেন, “আমরা প্রশ্ন করেছি যে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্রের আসলে সাড়ে পাঁচ মাস পরে কোনও প্রয়োজন ছিল কি না? যদি থেকে থাকে, সেটার রাজনৈতিক ও ঐতিহাসিক এবং আইনি গুরুত্ব কী? সেগুলো নির্ধারণ করতে হবে৷

“এই ঘোষণাপত্রকে কেন্দ্র করে যাতে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যে ফাটল সৃষ্টি না হয়, সেদিকেও আমাদের লক্ষ রাখতে হবে৷ যদি কোনও রাজনৈতিক দলিল ঐতিহাসিক দলিলে পরিণত হয়, সেই দলিলটাকে আমরা অবশ্যই সম্মান করি৷ কিন্তু সেটা প্রণয়ন করতে গিয়ে যাতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়, তাদের পরামর্শ নেওয়া হয়, সেই দিকটা আমরা পরামর্শ দিয়েছি।”

ঘোষণাপত্রের খসড়া নিয়ে কোনও আপত্তি রয়েছে কি না- সাংবাদিকরা এই প্রশ্ন করলে তা এড়িয়ে চলে যান সালাহউদ্দিন।

জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র প্রথমে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল। কিন্তু রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিক্রিয়া দেখে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সবার সঙ্গে আলোচনা করে তা প্রণয়নের সিদ্ধন্ত নেয়। আর সে লক্ষ্যেই বৃহস্পতিবারের এই বৈঠক।

রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে ঘোষণাপত্র নিয়ে কোনও দূরত্ব সৃষ্টি হয়নি বলে সাংবাদিকদের জানান আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল।

তিনি বলেন, “কোনও দ্বিমত বা দূরত্ব নেই। শুধু এটার প্রসেস কীভাবে হবে, তা নিয়ে সবার মতামত আছে। এতে আমরা অনৈক্যের সুর দেখি না। বরং সবাই মিলে সমন্বিতভাবে কাজ করা যায়। সবার মতামতের যেন প্রতিফলন ঘটে। সবাই যেন মনে করে জুলাই ঘোষণাপত্রের মালিকানা তাদের আছে। সে ব্যাপারে বিভিন্ন মতামত আসছে। এসব মতামত ঐক্যেকে আরও সুদৃঢ় করবে।”

ঘোষণাপত্রের বিষয়ে বৈঠকে অংশগ্রহণকারী সবাই একমত পোষণ করেছে দাবি করে তিনি বলেন, “অনেকগুলো সাজেশন এসেছে। মোটাদাগে বলতে গেলে, অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সবার অবদান বলতে হবে, ঘোষণাপত্রের ধারাবাহিকতা উল্লেখ করতে হবে, ঘোষণাপত্রের পলিটিক্যাল এবং লিগ্যাল নেচার কী হবে, তা স্পষ্ট করতে হবে।

“স্পষ্টভাবে বললে, এই ঘোষণাপত্র অভ্যুত্থানের পক্ষের সকল রাজনৈতিক দল, শক্তি, ছাত্র-জনতার বিভিন্ন ফোরামের সাথে আরও নিবিড় আলোচনার মাধ্যমে তৈরি করতে হবে। সর্বসম্মতিক্রমে এটা তৈরি করতে হবে।”

এজন্য সময় নেওয়ার প্রয়োজন হতে পারে জানিয়ে আসিফ নজরুল বলেন, “এনিয়ে আরও আলোচনা হবে, দ্বিপাক্ষিক আলোচনা হতে পারে, কমিটিও হতে পারে। সবার পরামর্শে দ্রুত সময়ের মধ্যে কর্মকৌশল নির্ধারণ হবে। কিন্তু এদিকেও লক্ষ্য রাখতে হবে যেন অযথা কালক্ষেপণ না হয়।

“সবাই এখানে একমত হয়েছেন, এই প্রক্রিয়ার মাধ্যমে আমরা জুলাই আন্দোলনের ঘোষণাপত্র তৈরি করতে পারব। যেই ফ্যাসিস্ট গণহত্যাকারী শেখ হাসিনার সরকারের পতন আমরা ঘটিয়েছি, সেই জাতীয় ঐক্যের ন্যারেটিভ আমরা একত্রে দিতে পারব।”

তাড়াহুড়ো চায় না দলগুলো

এই বৈঠকে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ অন্তত আটটি রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন। নির্বাচন কমিশনে নিবন্ধিত ৪৯টি দলের মধ্যে আমন্ত্রণ পেয়েও সর্বদলীয় এই বৈঠকে যায়নি বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি-সিপিবি।

বৈঠক শেষে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার সাংবাদিকদের বলেন, “আপনারা জানেন যে, সরকারের পক্ষ থেকে রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে একটা খসড়া পাঠানো হয়েছে। আজকের আলোচনায় প্রত্যেক দলের এবং বিশিষ্টজনের মতামত চাওয়া হয়েছে। তবে বিস্তারিত আলোচনা হয়নি।

“একটা কথা মোটা দাগে বলতে পারি, প্রত্যেকটি দল একটা ঘোষণাপত্র হওয়া প্রয়োজন সেটা অনুভব করেছে। তবে তাড়াহুড়ো করলে ৫ই আগস্টে গণঅভ্যুত্থানের মূল চেতনাকে ধারণ করে ঘোষণাপত্র তৈরিতে ভুলভ্রান্তি হতে পারে। সময় নিতে হবে। রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সাথে মতবিনিময় করতে হবে।”

পরওয়ার বলেন, খসড়ার ওপর প্রতিটি দল আলাদাভাবে প্রস্তাব দেবে। পরবর্তীকালে সবগুলোকে একত্র করে তা একটি ঘোষণাপত্রে রূপান্তরিত করা হবে।

এক্ষেত্রে খুব দেরি না করার ওপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, “খুব বিলম্ব করে অন্য কোনও অরাজকতা, অন্য কোনও ষড়যন্ত্রের সুযোগের জন্য যারা অপেক্ষা করে, তারা যেন না পায়। দেরি না করে এই উদ্যোগ দ্রুত শুরু করা উচিৎ।

“সরকারের একজন উপদেষ্টা দায়িত্ব নিয়ে বলেছেন, উনারা আমাদের মতামতগুলো পর্যালোচনা করবেন। একটা হোমওয়ার্ক করার পরে আমাদের সাথে দ্বিতীয় ধাপে আমাদের সাথে আবার বসবেন।”

জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে বৃহস্পতিবার ফরেইন সার্ভিস একাডেমিতে সর্বদলীয় বৈঠকে ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : পিআইডি
জুলাই অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিয়ে বৃহস্পতিবার ফরেইন সার্ভিস একাডেমিতে প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকে রাজনৈতিক দলগুলোর নেতারা। ছবি : পিআইডি

গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, “অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে যে জন-আকাঙ্ক্ষা তৈরি হয়েছে এবং গণঅভ্যুত্থান পরবর্তী বাংলাদেশের যে দিক-নির্দেশনা দেয়, তা নিয়ে একটি দলিল তৈরি হতে পারে। তবে এর পদ্ধতিগত দিক কি হবে, কীভাবে এই দলিল তৈরি হবে, সে বিষয়ে আমাদের প্রস্তাব তুলে ধরেছি। আশা করি সেই উপায়ে অন্তবর্তীকালীন সরকার একটি কর্মপন্থা তৈরি করবেন।”

তবে ক্ষেত্রে তাড়াহুড়ো না করার পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, “যেনতেন প্রক্রিয়ায় যেন এটা তৈরি না করা হয়। এখানে সরকারের দিক থেকে এই উদ্যোগ নিতে হবে।

“এখানে সরকারের পক্ষ থেকে একটা ড্রাফট কমিটি করা দরকার। ড্রাফট কমিটি ড্রাফটিং এর জায়গায় থাকবেন। সকল অংশীজনদের মতামতের ভিত্তিতেই এটা ড্রাফট করতে হবে। সকলের মতামতের ভিত্তিতে এটা তৈরি করতে হবে। এভাবে হলে এটা একটি পলিটিক্যাল দলিল বা সূত্র হিসেবে ভবিষ্যতেও আমাদের কাজে লাগবে।”

এবিষয়ে সরকার দলগুলোর সঙ্গে আবার বসবে বলে জানান সাকি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সদস্য সচিব আরিফ সোহেল অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র নিজেরা প্রণয়নের সিদ্ধান্ত নিয়েও সেই দায়িত্ব সরকারের হাতে ছেড়ে দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেন।

তিনি সাংবাদিকদের বলেন, “জুলাই আন্দোলনের ঘোষণাপত্র আমরা ঘোষণা করতে চেয়েছিলাম। পরবর্তীতে আমরা দেখেছি অন্তর্বতীকালীন সরকার ঘোষণা করেছে, তারা আন্দোলনের সকল পক্ষের মতামত নিয়ে ঐক্যমতের ভিত্তিতে এটা জারি করবে। আমরা তাতে সম্মত হয়েছি।”

এরপর এই ঘোষণাপত্রের প্রচারে সারাদেশে প্রচার চালানোর কথাও বলেন তিনি। তবে ১৫ জানুয়ারির মধ্যে ঘোষণাপত্র তৈরিতে সরকারের তাগিদ না দেখে তিনি হতাশা প্রকাশ করেন।

আরিফ সোহেল বলেন, “১৫ তারিখের মধ্যে সকল উদ্যোগ নিয়ে ঘোষণাপত্র জারি করতে পারবেন বলে আমরা আশা করেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে আমরা সরকারকে সেইভাবে ত্বরিত পদক্ষেপ নিতে দেখি নাই। তারপরেও তারা যেহেতু উদ্যোগ নিয়েছে, আমরা তাকে সাধুবাদ জানিয়েছি।”

বৈঠকে প্রাণবন্ত আলোচনা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, “গণঅভ্যুত্থানের সকল রাজনৈতিক দলগুলোকে সাথে নিয়ে ঐক্যমতের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র জারি করা হবে, এটি এখন নিশ্চিত৷

“পরবর্তী ধাপে আমরা আলোচনা করব, ঘোষণাপত্রে কী কী থাকতে পারে এবং কী বক্তব্য থাকলে, সেটি জুলাই মাসে রাস্তায় নেমে আসা ছাত্র-জনতার আকাঙ্ক্ষাকে যথাযথভাবে প্রতিফলিত করবে৷ এই ব্যাপারে আমাদের আলাপ-আলোচনা জারি থাকবে।”

সর্বদলীয় এই বৈঠকে ইসলামী আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব আতাউর রহমান, যুগ্ম মহাসচিব আশরাফুল আলম, খেলাফত মজলিসের মহাসচিব আহমেদ আব্দুল কাদের যোগ দেন।

গণঅধিকার পরিষদের আহ্বায়ক নূরুল হক নূর, বাসদের (মার্কসবাদী) সমন্বয়ক মাসুদ রানাও ছিলেন বৈঠকে। এবি পার্টির সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান ফুয়াদ, জেএসডির সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের হাসনাত কাইয়ুম, জাতীয় নাগরিক কমিটির আহ্বায়ক নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, সদস্য সচিব আখতার হুসেইন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসউদ বৈঠকে অংশ নেন।

আমন্ত্রণ পেয়েও এই বৈঠকে না যাওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে সিপিবি সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, দেরিতে জানানো হওয়ায় তারা বৈঠকে অংশ নিতে অপারগতা জানিয়েছেন।

“আজকে দেড়টার সময় আমরা খবর পেয়েছি। মাহফুজ আলম হোয়াটস অ্যাপে মেসেজে জানিয়েছে। ঘোষণাপত্রের ড্রাফটা পাঠিয়েছে। কিন্তু এত কমসময়ে কীভাবে পর্যালোচনা দেওয়া যায়। আমাদের দলের ভিতরে আলোচনা বাদে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে মতামত দেওয়া যায় না। তাই আমরা আজকে যাচ্ছি না।”

প্রিন্স আরও বলেন, “যদি আলোচনা করে মতামত দেওয়ার সুযোগ থাকে আমরা নিশ্চয়ই দেব। আমাদের দলের ভেতরে বাম জোটের মধ্যে আলোচনা করে তো মতামত জানাব। আজকের সভার ফলাফল দেখে আমরা সিদ্ধান্ত নেব।”

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত