বার্সেলোনার কাছে ৫-২ গোলে বিধ্বস্ত হওয়ার স্মৃতি টাটকা। কঠিন সময় কাটানোর মিশনে নেমে রিয়াল মাদ্রিদের শুরুটা হলো দুর্দান্ত। সহজ জয়ে কোপা দের রে’র কোয়ার্টার ফাইনালে উঠে যাওয়ার হাতছানি। কিন্তু সেল্তা ভিগো ঘুরে দাঁড়ানোর দুর্দান্ত উদাহরণ তৈরি করলে ম্যাচ চলে যায় অতিরিক্ত সময়ে। সেখানে এনদ্রিকের চমৎকার পারফরম্যান্সে বড় জয় নিয়ে প্রতিযোগিতাটির কোয়ার্টার ফাইনালে পৌঁছে গেছে রিয়াল।
কোপা দেল রে’র শেষ ষোলোতে সেল্তাকে ৫-২ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে রিয়াল। অর্থাৎ, বার্সেলোনার কাছে ৫-২ গোলের হারের যন্ত্রণা জুড়াল একই ব্যবধানে জিতে। তবে বড় জয় পেলেও লেগেছে অতিরিক্ত সময়। সেল্তা ভিগোর শেষের ঝলকে রিয়ালের নিশ্চিত জিততে যাওয়া ম্যাচে আশঙ্কার মেঘ ছড়ায়। তবে বেঞ্চ থেকে উঠে এসে এনদ্রিক জোড়া গোল করে স্প্যানিশ কাপের কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করেন। ব্রাজিলিয়ান তরুণ ফরোয়ার্ড দুটি গোলই করেছেন অতিরিক্ত সময়ের দ্বিতীয়ার্ধে।
সান্তিয়াগো বার্নাব্যুতে ৩৭ মিনিটে রিয়াল এগিয়ে যায় কিলিয়ান এমবাপ্পের গোলে। বিরতি থেকে ঘুরে এসে ৪৮ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন ভিনিসিয়ুস জুনিয়র। এই গোল দুটিই জয়ের বন্দরে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিল রিয়ালকে। কিন্তু ৮৩ মিনিটে খেলায় উত্তেজনা ফেরান জোনাথান বাম্বা। তার গোলে ব্যবধান কমায় সেল্তা। এরপর বাম্বা প্রতিপক্ষের ডি বক্সে ফাউলের শিকার হলে সেল্তা পায় পেনাল্টি। দ্বিতীয়ার্ধের ইনজুরি টাইমে পাওয়া সেই পেনাল্টি থেকে সফরকারীদের সমতায় ফেরান মার্কোস আলোন্সো।
তাতে নির্ধারিত সময় ২-২ গোলে শেষ হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। এই পর্বে কেবলই রিয়ালের দাপট। গোল পেতে কিছুটা দেরি হয়েছে, কিন্তু একবার যখন গোলের তালা খুলেছে, এরপর এসেছে একের পর এক। ১০৮ মিনিটে রিয়ালকে এগিয়ে নেন ৭৯ মিনিটে বদলি হয়ে মাঠে নামা এনদ্রিক। মিনিট তিনেক পর ব্যবধান ৪-২ করেন ফেদে ভালভার্দে। আর ১১৯ মিনিটে এনদ্রিক দ্বিতীয় গোল পেলে বড় ব্যবধানের জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে মাদ্রিদের ক্লাবটি।
এনদ্রিকের রিয়াল মাদ্রিদ ক্যারিয়ার শুরু হয়েছিল দারুণভাবে। লা লিগা ও চ্যাম্পিয়নস লিগে প্রথম ম্যাচেই পেয়েছিলেন গোল। পরের সময়টা হতাশার। গত ১৭ সেপ্টেম্বর থেকে ছিলেন গোলশূন্য, যদিও এই সময়ে লিগে খেলার সুযোগ পেয়েছেন ৮৩ মিনিট।
অবশেষে তিনি গোলের দেখা পেয়েছেন। আর এজন্য পুরো কৃতিত্ব দিচ্ছেন সতীর্থ আন্টোনিও রুডিগারকে। জার্মান ডিফেন্ডারকেই নিজের জোড়া গোল উৎসর্গ করেছেন এনদ্রিক, “প্রতিদিনই আমি কাজ করে যাচ্ছি। আমার দুটো গোল আন্টোনিও রুডিগারের জন্য। তিনি জানেন, তিনি আসলে আমার জন্য প্রতিদিন কী করেছেন। তিনি কখনও আমার প্রশংসা করেন না, আর এটা ভালো ব্যাপারও। তিনি আমাকে বলেন- কী করতে হবে, গোল করতে হবে, দৌড়াতে হবে, লড়াই চালিয়ে যেতে হবে। এই গোলগুলো তার।”
স্প্যানিশ কাপের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন আথলেতিক বিলবাও। কিন্তু শেষ ষোলো থেকেই তাদের বিদায়ঘণ্টা বেজে গেছে। ঘরের মাঠে দলটি ৩-২ গোলে হেরেছে ওসাসুনার কাছে।