Beta
শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শনিবার, ১৮ জানুয়ারি, ২০২৫

আল কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ইমরান খান দম্পতির কারাদণ্ড

Imran khans
[publishpress_authors_box]

আল কাদির ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার স্ত্রী বুশরা বিবি দোষী সাব্যস্ত হয়েছেন।

এই মামলায় একটি বিচারিক আদালত শুক্রবার ইমারনকে ১৪ বছর ও বুশরাকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছে।

আদিয়ালা জেলে তৈরি করা আদালতে তিনবার পিছিয়ে যাওয়া রায় শুক্রবার ঘোষণা করেন বিচারক নাসির জাভেদ রানা। কারাদণ্ডের পাশাপাশি আদালত ইমরানকে ১০ লাখ ও বুশরাকে ৫ লাখ রুপি জরিমানা করেছে।

আদিয়ালা জেলের বাইরে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে রায় ঘোষণা করা হয়। এর পরপরই বুশরা বিবিকে আদালত কক্ষ থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

২০২৪ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারি সাধারণ নির্বাচনের পরই ইমরান ও বুশরাকে এই মামলায় অভিযুক্ত করা হয়।

মামলার অভিযোগ বলা হয়, যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল ক্রাইম এজেন্সি এক ব্যবসায়ীর সঙ্গে সমঝোতা করে পাকিস্তানে ৫০ বিলিয়ন রুপি ফেরত পাঠিয়েছিল। কিন্তু সেই অর্থ ভুলভাবে ব্যবহার করা হয়েছে।

এই অর্থ জাতীয় কোষাগারে জমা দেওয়ার কথা ছিল। তবে অভিযোগ রয়েছে, এটি ব্যক্তিগতভাবে সেই ব্যবসায়ীর সুবিধার্থে ব্যবহার করা হয়। তিনি বুশরা বিবি ও ইমরান খানকে একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনে সহায়তা করেছিলেন।

বুশরা বিবি আল-কাদির ট্রাস্টের একজন ট্রাস্টি হিসেবে এই সমঝোতা থেকে সুবিধা নেওয়ার অভিযোগের মুখোমুখি হন। অভিযোগ অনুযায়ী, তিনি আল-কাদির বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য ঝিলামে ৪৫৮ ক্যানাল জমি নিয়েছিলেন।

ইমরান খান ২০২৩ সালের আগস্টে একাধিক মামলায় কারাবন্দি হন। তিনি দাবি করেন, এসব মামলা “রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত”। গত বছর তিনি সাইফার ও ইদ্দত মামলায় খালাস পান। তবে ডিসেম্বরে তোষাখানা ২ মামলায় অভিযুক্ত হন।

এই মাসের শুরুতে ইমরান খান অভিযোগ করেছিলেন যে, রায়টি তার উপর চাপ সৃষ্টি করতে দেরি করা হচ্ছে। তিনি মামলাটিকে ‘ভিত্তিহীন’ এবং ‘মিথ্যা’ বলেন। এদিকে পিটিআই (পাকিস্তান তেহরিক ই ইনসাফ) সরকারের সঙ্গে আলোচনা করে যাচ্ছে। গত বৃহস্পতিবার দলটি তাদের ‘দাবির সনদ’ সরকারের কাছে উপস্থাপন করেছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত