“দুঃখিত, টিকটক এ মুহূর্তে কাজ করছে না”- চীনা ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ টিকটকে ঢুকতে গেলেই এমন বার্তা পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ।
সঙ্গে তাদের এও বলা হচ্ছে, “টিকটক নিষিদ্ধের আইন পাস হয়েছে। আমরা ভাগ্যবান, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন, বিষয়টি সমাধানে তিনি আমাদের সঙ্গে কাজ করবেন। দয়া করে, আমাদের সঙ্গেই থাকুন।”
যুক্তরাষ্ট্রে টিকটক ব্যবহারকারীদের কয়েকজন দ্য নিউ ইয়র্ক টাইমসকে বলেছেন, অ্যাপল ও গুগলের যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাপ স্টোর থেকে সম্ভবত টিকটক সরিয়ে ফেলা হয়েছে।
কেবল টিকটক নয়, চীনের আরেক ভিডিও শেয়ারিং অ্যাপ লেমনএইটও যুক্তরাষ্ট্রে কাজ করা বন্ধ করে দিয়েছে। এই দুই অ্যাপের মালিক চীনের ইন্টারনেট জায়ান্ট কোম্পানি বাইটড্যান্স।
চীন সরকারের কাছে তথ্য পাচারের অভিযোগ এনে ২০২৪ সালের এপ্রিলে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে একটি আইন পাস হয়। তাতে বলা হয়, ২০২৫ সালের ১৯ জানুয়ারির মধ্যে টিকটকের যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার নিরপেক্ষ কারও কাছে বিক্রি করে দিতে হবে। নয় তো যুক্তরাষ্ট্রে এটি নিষিদ্ধ করা হবে।
এরপর গত আগস্টে টিকটকের বিরুদ্ধে মামলা করে যুক্তরাষ্ট্র সরকার। অভিযোগে বলা হয়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমটি বেআইনিভাবে শিশুদের তথ্য সংগ্রহ করছে এবং অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের অ্যাকাউন্ট বন্ধ করার চেষ্টা করলে তাতে সাড়া দিচ্ছে না অ্যাপ কর্তৃপক্ষ।
টিকটক কর্তৃপক্ষের সেসময় ধারণা ছিল, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সই করা আইনটির বিরুদ্ধে আদালতে চ্যালেঞ্জ জানানো হলে তারা জয় পাবে।
আদালতে তাদের আইনজীবী বলেছিলেন, আইনটির মধ্য দিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের ১৭ কোটি টিকটক ব্যবহারকারীর মতপ্রকাশের স্বাধীনতা লঙ্ঘন করা হচ্ছে।
গত শুক্রবার টিকটকের শেয়ার বিক্রির আইন বহাল রেখেই আদেশ দেয় যুক্তরাষ্ট্রের সুপ্রিম কোর্ট।
আদেশ পেয়ে টিকটক জানায়, টিকটকের যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বিক্রির আইন বাতিলে সরকার কোনও পদক্ষেপ না নিলে রবিবার দেশটিতে অ্যাপটির কার্যক্রম বন্ধ থাকবে।
টিকটকের শেয়ার বিক্রির শেষ দিন রবিবার। এদিন শেয়ার বিক্রি না হলে এটি নিষিদ্ধ হবে যুক্তরাষ্ট্রে। আর টিকটক বলেই দিয়েছে, তারা তাদের যুক্তরাষ্ট্রের শেয়ার বিক্রি করবে না।
তাই রবিবার দিনশেষে নিষিদ্ধ হওয়ার আগেই টিকটক নিজেই নিজেদের কার্যক্রম যুক্তরাষ্ট্রে বন্ধ করে দেয়।