কমন ক্রাইটেরিয়া (সিসি) ইভ্যালুয়েশন অ্যাসুরেন্স লেভেল (ইএএল) ৪+ নিরাপত্তা সনদ অর্জন করেছে হুয়াওয়ের ওশানস্টোর ডোরাডো অল-ফ্ল্যাশ স্টোরেজ। এটি স্টোরেজ পণ্যের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ স্তরের নিরাপত্তা সনদ। নেদারল্যান্ডসের ডেলফ্টে অবস্থিত এসজিএস ব্রাইটসাইট ও ট্রাস্টসিবি এই সনদটি অনুমোদন ও প্রদান করে থাকে।
রবিবার (১৯ জানুয়ারি) হুয়াওয়ে বাংলাদেশের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ডিজিটালাইজেশন বিশ্বকে যেমন বদলে দিচ্ছে, তেমনই সাইবার আক্রমণ, সিস্টেমের দুর্বলতার অপব্যবহার ও র্যানসমওয়্যার হামলার ঝুঁকি বেড়ে চলেছে। ফলে তথ্য চুরি, ক্ষতি ও হারানোর ঘটনা দিন দিন বাড়ছে। কিন্তু ডিজিটাল অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি ও উন্নয়নের জন্য তথ্যের গুরুত্ব এবং নিরাপত্তা দুটোই অত্যন্ত জরুরি। ডেটা স্টোরেজ হলো ডিজিটাল অর্থনীতির মেরুদণ্ড ও তথ্য সুরক্ষার শেষ স্তর। এর পাশাপাশি এটি শক্তিশালী ও বহুমুখী প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার একটি গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, ডিজিটাল অর্থনীতির যুগে তথ্য অবকাঠামোর অন্যতম নিরাপদ একটি ভিত্তি হলো হুয়াওয়ের ওশানস্টোর ডোরাডো অল-ফ্ল্যাশ স্টোরেজ। এটি অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট ফিচার ও বহুস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থার সমন্বয়ে তৈরি করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে আর্কিটেকচার ডিজাইন, সোর্স কোড ডেভেলপমেন্ট এনভায়রনমেন্ট, রিলিজ ও ডিপ্লয়মেন্ট ইত্যাদি। র্যানসমওয়্যার থেকে সুরক্ষা, ডেটা চুরি প্রতিরোধ, ব্যাকআপ ও পুনরুদ্ধারসহ নির্ভরযোগ্য ডেটা সঞ্চালনের সুবিধার মাধ্যমে এটি ডেটার স্থায়িত্ব বাড়ায়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আইটি পণ্য বা সলিউশনের নিরাপত্তা, নির্ভরযোগ্যতা ও সুরক্ষার নিশ্চয়তা দেয় সিসি ইএএল। এই ধরনের পণ্যের নিরাপত্তা সনদ প্রদানের জন্য এটি বিশ্বব্যাপী স্বীকৃত। এই সনদে ইএএল১ থেকে শুরু করে ইএএল৭ পর্যন্ত মান নির্ধারিত হয়। এর প্রতিটি স্তরে পৌঁছাতে প্রয়োজন হয় বিস্তারিত ডকুমেন্টেশন ও কঠোর পরীক্ষা। প্রতিটি স্তরে উন্নিত হলে উচ্চতর মাত্রার নিরাপত্তা নিশ্চিত হয়।
ইএএল৩+-এর তুলনায় ইএএল৪+ উচ্চ মাত্রার নিরাপত্তা দেয়। হুয়াওয়ে ২০২১ সালে ইএএল৩+ অর্জন করেছিল।
“সিকিউরিটি ফাংশন, সিকিউরিটি ডিজাইন, কনফিগারেশন ম্যানেজমেন্ট, সিকিউরিটি টেস্টিং ও সোর্স কোডের ইন-ডেপথ্ রিভিউ মেকানিজমের ক্ষেত্রে ইএএল৪+ নিরাপত্তার উচ্চ মানদণ্ড নিশ্চিত করে। বর্তমানে এটিকে স্টোরেজ পণ্যের সর্বোচ্চ নিরপত্তা স্তর হিসেবে বিবেচনা করা হয়”, বলা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।
হুয়াওয়ে ও হুয়াওয়ে বাংলাদেশ সম্পর্ক
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, হুয়াওয়ে বিশ্বের অন্যতম শীর্ষস্থানীয় একটি আইসিটি, টেলিযোগাযোগ অবকাঠামো ও পরিষেবা এবং স্মার্ট ডিভাইস সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান। এর লক্ষ্য সম্পূর্ণভাবে সংযুক্ত ও বুদ্ধিবৃত্তিক একটি বিশ্ব গড়ে তোলার জন্য প্রতিটি ব্যক্তি, বাড়ি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে ডিজিটাল সেবা পৌঁছে দেওয়া।
বাংলাদেশে ২৫ বছরেরও বেশি সময় ধরে হুয়াওয়ে থ্রিজি, ফোরজি এবং ফাইভজি প্রযুক্তির মাধ্যমে টেলিযোগাযোগ খাতকে সহযোগিতা করে আসছে। প্রতিষ্ঠানটি হুয়াওয়ে ক্লাউড সলিউশন, ডিজিটাল পাওয়ার সলিউশন ও মোবাইল আর্থিক পরিষেবা প্ল্যাটফর্ম প্রদান করছে এবং দেশের প্রায় প্রতিটি খাতে আইসিটি অন্তর্ভুক্তিকে ত্বরান্বিত করেছে। এছাড়া কর্পোরেট সামাজিক দায়িত্ব পালনে, বিশেষ করে প্রতিভা বিকাশে হুয়াওয়ে অত্যন্ত আন্তরিকতার সাথে ভূমিকা পালন করে আসছে।
দেশের আইসিটি অবকাঠামোর অবিচ্ছেদ্য অংশ ও স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার সহযোগী হিসেবে হুয়াওয়ে একটি সম্পূর্ণভাবে সংযুক্ত ও বুদ্ধিবৃত্তিক বাংলাদেশ গড়তে সবসময় এর সাথে রয়েছে এবং ভবিষ্যতেও এই প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলেও জানানো হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।