রিচা গঙ্গানি একজন ডায়েটিশিয়ান। হালে তিনি বাড়তি ওজন ঝরিয়েছেন। তার ত্বকেও এসেছে কমনীয় জেল্লা। কিন্তু কীভাবে?
নিজেই সেই রহস্য খোলাসা করেছেন রিচা গঙ্গানি।
মাঝে মাঝেই ইনস্টাগ্রামে নিজের মেদ কমানোর দিনলিপি তুলে ধরতেন এই পুষ্টিবিদ। নিজেকে নতুন আকার দিতে ৪৫ কেজি মেদ কমিয়েছেন তিনি।
আর এজন্য রিচা গঙ্গানি মেনে চলেছেন অ্যান্টি-ইমফ্ল্যামেটরি ডায়েট। একই সঙ্গে তিনি খাদ্যাভাসে নির্দিষ্ট বিরতি রেখেছেন।
এতে করে তার শরীরের মেদ তিন ইঞ্চি কমে গেছে। মোটে ২১ দিনে তিনি সাত কেজি ওজন ঝেরে ফেলেছেন।
ফলোয়ারদের জন্য এক ভিডিও পোস্ট করে তাতে ডায়েট পরিকল্পনা জানান দিয়েছেন রিচা।
ভিডিওতে ক্যাপশনে তিনি বলেন, “আমি সাত কেজি কমেছি মোটে ২১ দিনে। এজন্য অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং খুব কাজে দিয়েছে।
“৬৩ কেজি থেকে ৫৬ কেজি হয়েছি আমি। আমার শারীরিক প্রদাহ কমেছে। আমার ত্বক এখন অনেক উজ্জ্বল দেখায়।”
রিচার দিনের প্রথম খাবার খেতে সকাল ১১টায়। এবং সন্ধ্যা ৭টার পর আর কিছু খেতেন না তিনি।
“এভাবে ১৬ ঘণ্টা না খেয়ে থাকতাম আমি। আর বাকি ৮ ঘন্টার মধ্যে খেতাম আমি। এই ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং আমার জন্য খুবই কাজের হয়ে দেখা দিয়েছে।”
সকাল ৯টা শুরু হতো পানীয় দিয়ে। এই সময় রিচা অ্যান্টি ইনফ্ল্যামেটরি চা পান করতেন ওজন কমাতে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে।
এরপর সকালের নাশতা খেতেন ১১টার দিকে। নাশতায় ৩টি ডিমের সাদা অংশের ওমলেট খান তিনি। সঙ্গে থাকে মাশরুম, পালং শাক। কারণ এই দুই খাবার থেকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট পাওয়া যায়।
দুপুর ১টায় হালকা খাবার হিসাবে পিনাট বাটার এবং এক টুকরা আপেল খান রিচা।
মধ্যাহ্ন ভোজ পর্ব বেলা ৩টার দিকে সারেন তিনি। এতে থাকে ৩০ গ্রাম সাদা মটর, ৩০ গ্রাম লাল চাল, ১০০ গ্রাম ভাঁপিয়ে নেয়া ব্রকলি।
কায়িক পরিশ্রম শেষে বিকাল ৫টার দিকে ২টি ডিমের শুধু সাদা অংশ এবং একটি কুসুম সহ আস্ত ডিম খান। সঙ্গে থাকে প্রোটিন শেক।
রাতের খাবার ৭টার দিকে সেরে ফেলেন রিচা। এই সময় কাঠ বাদাম ছড়িয়ে দেয়া উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ মটর ও পালং শাকের স্যুপ খান।
রাত ৮টার দিকে অ্যান্টি-ব্লোটিং চা পান করে নেন তিনি; যেন ঢেকুর সমস্যা দেখা না দেয়।
ইনস্টাগ্রাম এই ডায়েটিশিয়ান নিয়মিত তার ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং ফর্মুলা ফলাও করে জানাচ্ছেন। এর সঙ্গে তার আরও পরামর্শ হচ্ছে, আট ঘণ্টা ঘুম, চার লিটার পানি পান এবং ১০ হাজার পদক্ষেপে হাঁটা খুব জরুরি।
হার্ভার্ড হেলথ প্রকাশিত একটি গবেষণা প্রতিবেদন বলছে, শরীরের প্রদাহ কমাতে ওষুধের বাক্স সুফল বয়ে আনে না। একটি অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ডায়েট মেনে চললেই কেবল শরীরের ভেতর থেকে সুস্থ অনুভব করা যায় এবং ত্বকেও ছড়িয়ে পড়ে সেই সুস্থতার দ্যুতি।
এই লেখাটি কেবলমাত্র তথ্য প্রদানের উদ্দেশ্যে তৈরি, এটি চিকিৎসা পরামর্শের বিকল্প নয়। যে কোন ধরণের স্বাস্থ্যসংক্রান্ত ব্যাপারে অবশ্যই আপনার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।