জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে নওয়াব ফয়জুন্নেসা হলের একটি কক্ষ থেকে চুরির অভিযোগে আটক আশরাফুল আলম পারভেজকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গত শনিবার রাত ১০টার দিকে মেয়েদের পোশাক পরে হলটিতে প্রবেশ ও চুরির অভিযোগে তাকে আটক করেছিল হল কর্তৃপক্ষ। পরে তাকে রাতেই আশুলিয়া থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। এরপর রবিবার তার বিরুদ্ধে মামলা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেপুটি রেজিস্ট্রার (নিরাপত্তা) জেফরুল হাসান চৌধুরী।
সোমবার মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক গোলাম কিবরিয়া তাকে আদালতে হাজির করে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম মাহফুজুর রহমান তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আবেদনে বলা হয়, আসামি একজন পেশাদার চোর দলের সক্রিয় সদস্য। তার বৈধ কোনও পেশা নেই, চুরি করেই সে জীবিকা নির্বাহ করে। গত ১৮ জুলাই রাত পৌনে ১১ টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নওয়াব ফয়জুন্নেসা ছাত্রী হলের ২১৬ নম্বর কক্ষের সামনে সন্দেহজনকভাবে ঘোরাফেরা করতে দেখতে পেয়ে চোর চোর বলে চিৎকার করতে থাকে। তখন এ আসামি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করলে তাকে আটক করা হয়।
আসামিকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে তল্লাশী করা হলে সে তার পরিহিত কালো রংয়ের ট্রাউজারের ডান পকেট থেকে ২১৬ নম্বর কক্ষের ছাত্রীর চুরি যাওয়া ৯০০ টাকা বের করে দেয় এবং জিজ্ঞাসাবাদে চুরির কথা স্বীকারও করে। মামলার তদন্তের স্বার্থে তাকে কারাগারে আটক রাখা প্রয়োজন জানিয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
হল সংশ্লিষ্টদের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, সেদিন রাতে এক ছাত্রীর পাশাপাশি হলে প্রবেশ করেন আশরাফুল। এ সময় তার কপালে টিপ, পরনে পালাজ্জো ও ঘোমটা দিয়ে মুখ ঢাকা ছিল। তার পোশাক ও হাঁটার ধরন দেখে হলের কয়েকজন ছাত্রীর সন্দেহ হলে বিষয়টি হল সুপারকে জানানো হয়।
একপর্যায়ে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে হল সুপারসহ কয়েকজন গিয়ে ওই ছাত্রীর কক্ষে আশরাফুলকে দেখতে পান। এরপর তাকে আটক করে হল প্রাধ্যক্ষ ও প্রক্টরিয়াল টিমের উপস্থিতিতে আশুলিয়া থানার পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। পরদিন তার বিরুদ্ধে মামলা হয়।
