বিদেশিহীন আবাহনী প্রিমিয়ার লিগে দুর্দান্ত ফুটবল উপহার দিচ্ছে। পাশাপাশি ফেডারেশন কাপেও জিতে চলেছে। মঙ্গলবার আবাহনী ৩-০ গোলে হারিয়েছে ইয়ংমেন্স ফকিরেরপুলকে। ‘বি’ গ্রুপে আবাহনীর মতো রহমতগঞ্জও কোয়ালিফায়ার নিশ্চিত করেছে। চট্টগ্রাম আবাহনীকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে রহমতগঞ্জ।
‘বি’ গ্রুপে জয়ী আবাহনী ও রহমতগঞ্জ দুই দলেরই ৩ ম্যাচে ৯ পয়েন্ট। ৫ ফেব্রুয়ারি গ্রুপের শেষ ম্যাচে আবাহনী ও রহমতগঞ্জ মুখোমুখি হবে। সেই ম্যাচে নির্ধারণ হবে গ্রুপ সেরা। মঙ্গলবার হেরে যাওয়ার কারণে ইয়ংমেন্স ফকিরেরপুল বিদায় নিয়েছে টুর্নামেন্ট থেকে। এর আগে নক আউটের লড়াই থেকে মোহামেডান ও চট্টগ্রাম আবাহনীও ছিটকে গেছে।
মঙ্গলবার কুমিল্লা শহীদ ধীরেন্দ্রনাথ দত্ত স্টেডিয়ামে আবাহনী ও ফকিরেরপুল দলই গোলের সুযোগ পেয়েছিল। ৮ মিনিটে আবাহনীর আসাদুল মোল্লা বল নিয়ে ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে গোল করতে পারেননি।
বিরতির পর আবাহনী খেলেছে দুর্দান্ত ফুটবল। আরও স্পষ্ট করে বললে ৬ মিনিটের ঝড়ে তছনছ হয়েছে ফকিরেরপুল। ৬৫ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ইয়াসিন খান এগিয়ে নেয় আবাহনীকে। ৬৮ মিনিটে ওভারল্যাপ করেহাসান মুরাদ ব্যবধান দ্বিগুণ করেন।
৭১ মিনিটে আবাহনী তৃতীয় গোল করে। মাহাদী ইউসুফ ডান দিক দিয়ে বক্সে ঢুকে জায়গা করে নিয়ে বাঁ পায়ের জোরালো শটে ৩-০ করেন।
বসুন্ধরা কিংস অ্যারেনাতে রহমতগঞ্জ ৩-০ গোলে হারিয়েছে চট্টগ্রাম আবাহনীকে। ম্যাচের ৩২ মিনিটে রহমতগঞ্জ এগিয়ে যায়। মিশরের মোস্তফা আব্দুল খালেক করেন প্রথম গোল। ৪১ মিনিটে জীবনের ফ্রি-কিক গোলপিকার ঝাঁপিয়ে পড়ে রুখে দিয়ে ব্যবধান বাড়তে দেননি। কিন্তু ৪২ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে দলটি।
রায়হানের লম্বা থ্রো ইন থেকে জীবনের শট একজন ক্লিয়ার করেন। তবে স্যামুয়েল বোয়াটেং বক্সের ভেতরে বল পেয়েই জোরালো শটে কাঁপিয়ে দেন জাল (২-০)। ৭১ মিনিটে মাহমুদুল কিরনের কাটব্যাক থেকে ফাহিম নূর তোহা প্লেসিং শটে করেন ৩-০। বাকি সময়ে চেষ্টা করেও আর কোনও দল গোলের দেখা পায়নি।