Beta
শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ২৪ জানুয়ারি, ২০২৫

জুলাই-আগস্টের নৃশংসতা নিয়ে জাতিসংঘের প্রতিবেদন ফেব্রুয়ারিতে : তুর্ক

সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে বুধবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জাতিসংঘের হাই কমিশনার ভলকার তুর্কের সাক্ষাৎ। ছবি : পিআইডি
সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে বুধবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে জাতিসংঘের হাই কমিশনার ভলকার তুর্কের সাক্ষাৎ। ছবি : পিআইডি
[publishpress_authors_box]

জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাই কমিশনার ভলকার তুর্ক জানিয়েছেন, বাংলাদেশে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত নৃশংসতা সম্পর্কে সংস্থাটির তথ্য-অনুসন্ধান প্রতিবেদন চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে তা প্রকাশ করা হবে।

বাসস জানিয়েছে, সুইজারল্যান্ডের ডাভোসে বিশ্ব অর্থনৈতিক ফোরামের বার্ষিক সভার ফাকে বুধবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে জাতিসংঘের হাই কমিশনার একথা জানান।

তুর্ক বলেন, জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার অধিকার অফিস থেকে প্রকাশিত হওয়ার আগে প্রতিবেদনটি বাংলাদেশকেও প্রদান করা হবে।

অধ্যাপক ইউনূস ছাত্র-নেতৃত্বাধীন অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত অপরাধ তদন্তের জন্য জাতিসংঘের মানবাধিকার অফিসকে ধন্যবাদ জানান।

তিনি বলেন, ছয়টি প্রধান স্বাধীন সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনও প্রায় একই সময়ে প্রকাশিত হবে। প্রতিবেদনগুলো একে অপরের পরিপূরক হতে পারে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে গত জুলাইয়ের শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন শুরুর পর তা সহিংসতায় গড়ায় দুই সপ্তাহ পর।

কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংস হয়ে ওঠে ঢাকার বাড্ডা এলাকা। ছবি : সকাল সন্ধ্যা
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে সহিংস হয়ে ওঠে ঢাকার বাড্ডা এলাকা। ছবি : সকাল সন্ধ্যা

১৫ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের পিটুনির শিকার হয় আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। পরদিন তার প্রতিক্রিয়ায় বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ হলে সেখানে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ সমর্থকরা হামলা চালালে ছয়জন নিহত হয়।

এরপর আন্দোলন যেমন তীব্র হয়, সরকারের দমন-পীড়নও বাড়ে। কয়েকশ মানুষ নিহত হওয়ার পর আন্দোলনের তোড়ে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটে। এরপর ৮ আগস্ট নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেয়।

বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা মিয়ানমার থেকে নতুন করে হাজার হাজার শরণার্থীর আগমনের ফলে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আরও খারাপ হওয়া রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে সহায়তার জন্য জাতিসংঘ মানবাধিকার প্রধানের প্রতি আহ্বান জানান।

পূর্ণ সমর্থনের আশ্বাস দিয়ে তুর্ক বলেন, তিনি এই বিষয়ে মিয়ানমার বিষয়ক জাতিসংঘের বিশেষ দূত জুলি বিশপসহ সংশ্লিষ্ট স্টেকহোল্ডারদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।

নতুন করে রোহিঙ্গাদের আগমন বন্ধ করার লক্ষ্যে মিয়ানমারের রাখাইন অঞ্চলে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে একটি নিরাপদ অঞ্চল তৈরির আহ্বান জানিয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস।

তিনি রোহিঙ্গা সংকটের ওপর আসন্ন উচ্চ পর্যায়ের সম্মেলনের কথা উল্লেখ করে বলেন, এটি সবচেয়ে খারাপ মানবিক সংকটগুলোর একটির দিকে বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করবে।

তুর্ক একমত হয়েছেন যে, এই ধরনের সম্মেলন সংকটের ওপর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হারানো মনোযোগ ফিরিয়ে আনার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

বাংলাদেশ সরকারের এসডিজি বিষয়ক সমন্বয়কারী লামিয়া মোর্শেদ এবং জেনেভায় বাংলাদেশের স্থায়ী রাষ্ট্রদূত তারেক আরিফুল ইসলাম সভায় উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত