Beta
সোমবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
সোমবার, ২৭ জানুয়ারি, ২০২৫

মৃত্যুবার্ষিকীতে আরাফাত রহমান কোকোকে স্পোর্টিং ক্লাবের শ্রদ্ধাভরা স্মরণ

আরাফাত রহমান কোকো স্পোর্টিং ক্লাবের শ্রদ্ধাঞ্জলি। ছবি: সংগৃহীত
আরাফাত রহমান কোকো স্পোর্টিং ক্লাবের শ্রদ্ধাঞ্জলি। ছবি: সংগৃহীত
[publishpress_authors_box]

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ও বেগম খালেদা জিয়ার কনিষ্ঠপুত্র ক্রীড়া সংগঠক আরাফাত রহমান কোকোর দশম মৃত্যুবার্ষিকী ছিল ২৪ জানুয়ারি শুক্রবার। মৃত্যুবার্ষিকীতে বনানী কবরস্থানে আরাফাত রহমান কোকো স্পোর্টিং ক্লাবের পক্ষ থেকে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি জানানো হয়।

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর নিকটাত্মীয় সৈয়দ মোহাম্মদ মোস্তাকিম রেজা (শিম্পু), সৈয়দ মোত্তাকিম রেজা (টিম্পু)। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন আবিদুল বারী রায়হান, এ কে এম মাহামুদুল হাসান (টিটু), খায়রুল ইসলাম, মাঈন উদ্দিন নিলয়, নাসির হোসেন, মো. সুমন সহ আরাফাত রহমান কোকো’র স্পোর্টিং ক্লাবের কর্মকর্তারা।

আরাফাত রহমান কোকো ব্যক্তিগত জীবনে অন্তর্মুখী স্বভাবের ছিলেন। ক্রীড়া সংগঠক হিসেবে বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে অবদান রাখলেও প্রচারের আলো থেকে নিজেকে সরিয়ে রাখতেন। কোকো ২০০২ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে থাকাকালীন সময়ে ক্রিকেট রাজনীতিমুক্তকরণ যেমন করেছেন, তেমনি বিরোধীদলীয় নেতা সাবের হোসেন চৌধুরীর সঙ্গে কাজ করে বাংলাদেশে অনন্য নজির স্থাপন করেন।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে যারা দায়িত্ব পালন করেছেন তাদের অধিকাংশই ক্রিকেট খেলোয়াড় ছিলেন না কিন্তু তিনি ডিওএইচএস ক্লাবের হয়ে দ্বিতীয় বিভাগে ক্রিকেট খেলেছেন। প্রধানমন্ত্রীর সন্তান হিসেবে দ্বিতীয় বিভাগে খেলাটা পারিবারিক শক্তি না দেখানোর মত বিনয়!এ ধরনের বিনয় তার পুরো ক্রীড়া সংগঠক জীবনে লক্ষ্য করা যায়।

ডেভলপমেন্ট কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের মাধ্যমে ভবিষ্যৎ ক্রিকেটার তৈরির পাইপলাইনের সূচনা তার হাত দিয়ে। সাকিব, তামিম, মুশফিক, সোহরাওয়ার্দী শুভ, এনামুল জুনিয়রসহ অনেক ক্রিকেটার হাই পারফরম্যান্স ইউনিটের মাধ্যমে প্রতিভা বিকাশের সুযোগ পায়। স্পষ্ট করে বললে খেলোয়াড় তৈরির ধারাবাহিক পাইপ লাইন তৈরি হয়েছিল ডেভেলপমেন্ট কমিটির মাধ্যমে। তার মূল কারিগর ছিলেন আরাফাত রহমান কোকো।

ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ব্যক্তিগত সম্পর্ককে কাজে লাগিয়ে অস্ট্রেলিয়ান কোচ, ট্রেনার, ফিজিও আনার ট্রেন্ড চালু করেন তিনি।

আরাফাত রহমান কোকোর জন্ম ১৯৬৯ সালে ঢাকায়। তিনি ঢাকার বিএফ শাহীন কলেজে লেখাপড়া করেন। ১৯৬৯ সালে জিয়াউর রহমান সপরিবারে ঢাকায় চলে এলে কিছুদিন জয়দেবপুরে থাকার পর বাবার চাকরির সুবাদে চট্টগ্রামের ষোলশহর এলাকায় বাস করেন। ২০০৩ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ছিলেন কোকো।

২০০৮ সালের ১৮ জুলাই চিকিৎসার জন্য সপরিবারে ব্যাংককে যান তিনি। চিকিৎসা শেষে মালয়েশিয়ায় চলে যান এবং সেখানেই সপরিবারে বসবাস করে আসছিলেন মৃত্যুর আগ পর্যন্ত। ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরে মারা যান তিনি। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী শর্মিলা রহমান তাবাসুম, দুই মেয়ে জাফিয়া রহমান ও জাহিয়া রহমানকে রেখে যান।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত