বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনের বর্তমান কমিটির মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে আজ ২৬ জানুয়ারি। এই অবস্থায় সরকার নতুন কমিটির নাম ঘোষণা না করলে বড় ধরনের নিষেধাজ্ঞা দিতে পারতো বিশ্ব অ্যাকুয়াটিকস সংস্থা ফিনা। তবে এমন পরিস্থিতি এড়াতে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় আজ একটা প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। যে প্রজ্ঞাপনের বলে বর্তমান কার্যনির্বাহী কমিটি সাঁতারের দৈনন্দিন কার্যক্রম চালিয়ে নিতে পারবে।
ক্রীড়াঙ্গন সংস্কারের জন্য সরকার গত বছর ২৯ আগস্ট গঠন করে সার্চ কমিটি। যে কমিটি এখনও দৃশ্যমান কিছু করতে পারেনি। যদিও এরই মধ্যে বিভিন্ন ফেডারেশনের সঙ্গে সভা করেছে ক্রীড়াঙ্গনের সংস্কারে গঠিত এই কমিটি। সংস্কারের ধারাবাহিকতায় ১৪ নভেম্বর ৯টি ফেডারেশনের নতুন অ্যাডহক কমিটি দিয়েছে সরকার। বাকিগুলো নিয়ে রয়েছে চরম অনিশ্চয়তা। কবে এই কমিটিগুলোর ঘোষণা আসবে, কবে শুরু হবে খেলাধুলা তা কেউ বলতে পারছে না।
প্রথম দফায় সরকার হকি, অ্যাথলেটিকস, দাবা, বাস্কেটবল, কাবাডি, স্কোয়াশ, টেনিস, ব্রিজ, বিলিয়ার্ড ও স্নুকার ফেডারেশনের নতুন কমিটি ঘোষণা করেছে। কিন্তু বাকি ফেডারেশনগুলোর তালিকায় রয়েছে সাঁতার।
এই যখন অবস্থা তখন সরকার একটি প্রজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানিয়ে দিয়েছে, বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশনের সার্বিক কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে পরিচালনা করার লক্ষ্যে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ আইন, ২০১৮ অনুসারে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সহজাত আইনি ক্ষমতা পর্যালোচনায় পরবর্তী অ্যাডহক কমিটি গঠন না হওয়া পর্যন্ত বিদ্যমান কমিটিকে দৈনন্দিন কার্যক্রম অব্যাহত রাখার অনুমতি দিয়েছে।
বাংলাদেশ সুইমিং ফেডারেশনের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সেলিম মিয়া বিষয়টিকে ইতিবাচকভাবেই দেখছেন, “কমিটি না হলে, আমাদের এজিএম (বার্ষিক সাধারণ সভা) হচ্ছে না। আমি ভারপ্রাপ্ত হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। আমাকে দায়িত্ব না দিলে এজিএম করতে পারব না। এজন্য এজিএম করা জরুরী। আর এজিএম না হলে সেক্ষেত্রে ফিনা যে কোনোও পদক্ষেপ নিতে পারতো। অ্যাকুয়াটিকস থেকে আমাদের যে বিভিন্ন সাহায্য, সহযোগিতা তারপর বিভিন্ন আন্তর্জাতিক গেমস এগুলোতে আমাদের অংশগ্রহণ করা অনিশ্চিত হয়ে যেত। বিভিন্ন স্কলারশিপ বন্ধ হয়ে যেত। সবচেয়ে বড় কথা, দেশের সাঁতারুরা বিপদে পড়তো।”
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সেলিম মিয়া এরই মধ্যে গত বছর নভেম্বরে জাতীয় সাঁতার চ্যাম্পিয়নশিপ আয়োজন করে প্রশংসিত হয়েছেন।
এবার দেশব্যাপী তারুণ্যের উৎসব পালনের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়। তারই ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশ সাঁতার ফেডারেশন আগামী ১২-১৩ ফেব্রুয়ারি মিরপুর সৈয়দ নজরুল ইসলাম সুইমিং কমপ্লেক্সে আয়োজন করবে ওয়াটার পোলো ও ডাইভিং প্রতিযোগিতার।
এর আগে বর্তমান কমিটির জন্য সরকারের এমন সিদ্ধান্ত হওয়ায় নিশ্চিন্তে তিনি প্রতিযোগিতা শেষ করতে পারবেন। তাছাড়া সরকারের এই সিদ্ধান্তর বিষয়টিও সেলিম মিয়া ফিনাকে জানাবেন, “ আমাদের গঠনতন্ত্রে আছে সাধারণ সম্পাদকের অনুপস্থিতে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক দায়িত্ব পালন করতে পারবেন। এটাই ফিনাকে চিঠি দিয়ে জানাব। তারা অনুমতি দিলেই সাঁতারের পরবর্তী সব কার্যক্রম চালিয়ে যাব আমরা।”