এই রবিবার পারিশ্রমিকের চেক হাতে হাসিমুখে সামাজিক যোগযোগ মাধ্যমে দুর্বার রাজশাহীর ক্রিকেটারদের ছবি দেখা যায়। সেই হাসি টিকলো না। একদিনের ব্যবধানে চেকের বাউন্স হওয়ার অবস্থা তৈরি হয়েছে।
রাজশাহীর ক্রিকেটাররা মঙ্গলবার নিজ নিজ ব্যাংকে চেক জমা দিলেও টাকা ক্রেডিট হওয়ার খবর নেই। কয়েকজন ক্রিকেটার চেক বাউন্স করার অভিযোগ তুলেছেন। আবার কেউ কেউ ব্যাংকিং টাইম পর্যন্ত অপেক্ষা করছেন বলে জানতে পেরেছে সকাল সন্ধ্যা।
চেক পাওয়ার দিন বিদেশি ক্রিকেটার ছাড়া রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে খেলতে নেমেছিল রাজশাহী। সেদিনই দলটির বিপক্ষে মাত্র ১১৯ রান করেও নাটকীয় জয় পায় দলটি। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে অধিনায়ক তাসকিন আহমেদ মজা করে বলেছিলেন, “মিরপুরের উইকেটের মতো চেক বাউন্স না করলেই হয়, হলে তো সমস্যা।”
মঙ্গলবার দুপুর পর্যন্ত তাসকিনদের জন্য সেই সমস্যাই অপেক্ষা করছে।
বিপিএলে চট্টগ্রাম পর্বে প্রকাশ্যে আসে রাজশাহীর পারিশ্রমিক সমস্যা। কোনো টাকা না পাওয়ায় গত ১৫ জানুয়ারি অনুশীলন বয়কট করেন দলটির ক্রিকেটাররা। পরে বিসিবির হস্তক্ষেপে ও ২৫ শতাংশ অর্থ পরিশোধ করে তাদের ম্যাচ খেলতে রাজি করায় ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।
পরে টুর্নমেন্টের মাঝপথে দেওয়া ২৫ শতাংশ পারিশ্রমিকের চেকও বাউন্স হয়। ঢাকায় ফিরেও চলতে থাকে এই নাটকীয়তা।
দলটির ম্যানেজার মেহেরাব হোসেন অপি জানিয়েছেন, “আমাকে এখনও কোন ক্রিকেটার টাকা না পাওয়ার অভিযোগ করেনি। ব্যাংকিং সময় শেষ হতে আরও কিছুক্ষণ বাকি। দেখি আশা করি সব ঠিক হয়ে যাবে।”
১২ ম্যাচে ৬ জয়ে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তালিকার তৃতীয় অবস্থানে রাজশাহী। প্লে অফে খেলার সুযোগ আছে দলটির। পারিশ্রমিকের সমস্যা চলতে থাকলে প্লে অফে রাজশাহীর খেলা কতটা কঠিন?
এ ব্যাপারে জানতে চাইলে অপি বলেছেন, “দেখুন প্লে অফ শুরু হতে কিছুদিন সময় আছে। আশাকরি এই সমস্যা কেটে যাবে।”
রাজশাহীর জন্য স্বস্তির গত ম্যাচে জিম্বাবুয়ে, আফগানিস্তান মিলিয়ে বিদেশি ক্রিকেটাররা রাউন্ড রবিন পর্বের সবশেষ ম্যাচটি খেলেছেন। কিন্তু এই ম্যাচে সুযোগ থাকলেও খেলতে আসেননি পাকিস্তানের হারিস রউফ। এ নিয়ে টানা দুই ম্যাচে দলের সঙ্গে অনুপস্থিত এই ব্যাটার।
এদিকে পারিশ্রমিক ও অন্যান্য বিষয় মিলিয়ে সবশেষ বোর্ড সভায় ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দিয়েছিলেন বিসিবি পরিচালক মাহবুব আনাম। কিন্তু ৭২ ঘণ্টা অতিক্রম হতে চললেও বিসিবি থেকে কোন পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা আসেনি।
