Beta
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
বৃহস্পতিবার, ৩০ জানুয়ারি, ২০২৫

এরশাদ ট্রাস্টের সাবেক চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিদিশার মামলার আরজি

বিদিশা।
বিদিশা।
[publishpress_authors_box]

এরশাদ ট্রাস্টের সাবেক চেয়ারম্যান কাজী মামুনুর রশীদের বিরুদ্ধে মানহানির মামলার আবেদন করেছেন বিদিশা। এতে ১০০ কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দাবি করেছেন তিনি।

এরশাদের সাবেক স্ত্রী বিদিশা মঙ্গলবার ঢাকার মহানগর হাকিম নাজমিন আক্তারের আদালতে মামলার আবেদন করেন।

আদালত তার জবানবন্দি নিয়ে অভিযোগ তদন্ত করে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে গোয়েন্দা পুলিশকে (ডিবি) নির্দেশ দিয়েছেন বলে বাদীপক্ষের আইনজীবী মো. নজরুল ইসলাম সরদার জানিয়েছেন।

মামলার আরজিতে মামুনুর রশীদের পাশাপাশি এরশাদ ট্রাস্টের বর্তমান চেয়ারম্যান ফখর-উজ-জামান জাহাঙ্গীর ও সদস্য মনিরুজ্জামান টিপুকেও আসামি করা হয়েছে।

বিদিশার অভিযোগ, আসামিরা গত ২২ জানুয়ারি সংবাদ সম্মেলন করে বিদিশা এবং তার ও এরশাদের ছেলে শাহতা জারাব এরিক এরশাদের বিরুদ্ধে মিথ্যা বক্তব্য দেন, যা মানহানিকর ও অপমানজনক।

সাবেক রাষ্ট্রপতি, জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান এইচ এম এরশাদ মারা যাওয়ার আগে ২০১৯ সালে তার কোটি কোটি টাকার সম্পত্তি ট্রাস্টের নামে লিখে যান।

এরশাদ তার সম্পদের কিংদংশ দিয়ে যান তার প্রথম স্ত্রী রওশন এরশাদ ও তাদের বড় ছেলে রাহগীর আল মাহি সাদ এরশাদকে।

বিদিশার সঙ্গে এরশাদের তালাক বহু আগে হয়ে যাওয়ায় তিনি কোনও সম্পত্তি পাননি। তাদের ছেলে এরিককে আইনি লড়াই চালিয়ে নিজের কাছে রেখেছিলেন এরশাদ।

এরশাদ তার অধিকাংশ সম্পত্তি ছোট ছেলে এরিখকে দিতে চেয়েছিলেন। তবে বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন এরিখের কাছ থেকে কেউ যেন সম্পত্তি লিখিয়ে নিতে না পারে, সেজন্য ট্রাস্ট করে যান তিনি।

হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার সময় এর চেয়ারম্যান এরশাদ নিজেই ছিলেন। সদস্য ছিলেন এরিক, এরশাদের একান্ত সচিব খালেদ আক্তার, তার চাচাত ভাই মুকুল ও তার ব্যক্তিগত কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর।

প্রথম স্ত্রী রওশন, বড় ছেলে সাদ কিংবা ভাই জি এম কাদেরকে ট্রাস্টে রাখেননি এরশাদ। তবে এরশাদের মৃত্যুর পর ট্রাস্টে সদস্য হিসাবে অন্তর্ভুক্ত করা হয় সাদ এরশাদকে।

এরশাদের মৃত্যুর পর ট্রাস্টের চেয়ারম্যান হয়েছিলেন খালেদ আক্তার। তিনি ২০২০ সালে মারা যাওয়ার পর মামুন চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছিলেন।

তবে গত ডিসেম্বরে মামুন এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানান যে তিনি অসুস্থতার কারণে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব থেকে সরে গেছেন। এখন ট্রাস্টের চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নিয়েছেন ফখর-উজ-জামান জাহাঙ্গীর।

এদিকে এরশাদের মৃত্যুর পর বারিধারায় তার বাড়িতে এরিকের সঙ্গে গিয়ে ওঠেন বিদিশা। এরশাদের জীবদ্দশায় তিনি তা পারছিলেন না।

মায়ের সঙ্গে থাকা এরিক গত ২১ জানুয়ারি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে ‘হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ ট্রাস্ট’ সংক্রান্ত অনিয়ম নিরসনে প্রশাসনিক হস্তক্ষেপের জন্য একটি আবেদন জমা দেন।

এরপর ট্রাস্টের পক্ষ থেকে একটি সংবাদ সম্মেলন করা হয়। সেখানে মানহানিকর নানা বক্তব্য দেওয়া হয় বলে মামলার আরজিতে অভিযোগ করেন বিদিশা।

তিনি অভিযোগ করেছেন, মামুনুর রশিদ এবং জাহাঙ্গীর ট্রাস্টের অর্থ ইচ্ছামতো খরচ করছেন। তারা হিসাব দিচ্ছেন না এরিককে। তাদের অনিয়ম নিয়ে প্রশ্ন তোলায় সংবাদ সম্মেলন করে তার ওপর কালিমা লেপন করা হয়।

গণঅভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত সামরিক শাসক এরশাদ ২০০০ সালে বিয়ে করেন কবি-অধ্যাপক আবু বকর সিদ্দিকের মেয়ে বিদিশাকে। তাদের ঘরে আসে সন্তান এরিক। তবে পাছ বছরের মধ্যে তাদের বিচ্ছেদ ঘটে।

২০০৫ সালে বিচ্ছেদের পর এরশাদের দেওয়া চুরির মামলায় কারাগারেও যেতে হয়েছিল বিদিশাকে। পরে সন্তানের অভিভাবকত্ব নিয়েও তাদের আদালতে যেতে হয়েছিল।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত