হারলেই সিরিজ হাতছাড়া- এমন সমীকরণ সামনে রেখে ভারতের বিপক্ষে তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে নেমেছিল ইংল্যান্ড। টানা দুই ম্যাচ হেরে চাপে পড়া ইংলিশরা ঘুরে দাঁড়িয়েছে। রাজকোটের ম্যাচ জিতে সিরিজ বাঁচিয়েছে জস বাটলাররা।
সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন স্টেডিয়ামে ভারতকে ২৬ রানে হারিয়েছে ইংল্যান্ড। আগে ব্যাট করা ইংল্যান্ড নির্ধারিত ২০ ওভারে ৯ উইকেটে ১৭১ রান করে। এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে ৯ উইকেটে ১৪৫ রান করতে পারে ভারত। ফলে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে টিকে থাকল ইংলিশরা। তিন ম্যাচ শেষে ভারত এগিয়ে ২-১ ব্যবধানে।
টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামা ইংল্যান্ড শুরুতেই হারায় ফিল সল্টের (৫) উইকেট। তবে আরেক ওপেনার বেন ডাকেটের ঝড়ো ব্যাটিংয়ে বড় সংগ্রহের ভিত পায় সফরকারীরা। অধিনায়ক বাটলারকে নিয়ে স্কোর বাড়িয়ে নেন ডাকেট। বাটলারের বিদায়ে ভাঙে তাদের জুটি। ইংলিশ অধিনায়ক ২২ বলে ১ চার ও ১ ছক্কায় করেন ২৪ রান। তার বিদায়ের পরপরই ফিরে যান ডাকেট। বাঁহাতি ওপেনার ২৮ বলে ৭ চার ও ২ ছক্কায় খেলে যান ৫১ রানের ইনিংস।
হ্যারি ব্রুক (৮) সুবিধা না করতে পারলেও দাঁড়িয়ে গিয়েছিলেন লিয়াম লিভিংস্টোন। মিডল অর্ডারে এই ব্যাটার আলো ছড়ানোর কারণেই লড়াই করার মতো সংগ্রহ পায় ইংল্যান্ড। লিভিংস্টোন ২৪ বলে ১ চার ও ৫ ছক্কায় খেলেন ৪৩ রানের ইনিংস।
ইংল্যান্ডের সংগ্রহ হয়তো আরও বাড়তো যদি মিডল ও লোয়ার অর্ডারের ব্যাটাররা রান পেতেন। বরুণ চক্রবর্তীর ঘূর্ণিতে শেষ দিকে আসা-যাওয়া করেছেন ব্যাটার। এই স্পিনার ৪ ওভারে ২৪ রান দিয়ে নেন ৫ উইকেট। হার্দিক পান্ডিয়া ৪ ওভারে ৩৩ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।
১৭২ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে ইংলিশ বোলারদের সামনে সুবিধা করতে পারেননি ভারতীয় ব্যাটাররা। ওপেনার সঞ্জু স্যামসন (৩) শুরুতেই আউট। অভিষেক শর্মার ব্যাটে সম্ভাবনা উঁকি দিলেও ১৪ বলে ২৪ রান করে বিদায় নেন তিনি। অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব করেন ৭ বলে ১৪ রান।
হার্দিক চেষ্টা করেও হার ঠেকাতে পারেননি দলের। তিনি খেলেন দলীয় সর্বোচ্চ ৪০ রানের ইনিংস। ৩৫ বলে মেরেছেন ১ চার ও ২ ছক্কা। ১৫ রান আসে অক্ষর প্যাটেলের ব্যাট থেকে।
ইংল্যান্ডের জয়ের পথে ব্রেডন কার্সি ৪ ওভারে ২৮ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। জোফরা আর্চার ৪ ওভারে ৩৩ রান খরচায় পেয়েছেন ২ উইকেট। দুর্দান্ত বল করেছেন আদিল রশিদ। এই স্পিনার ৪ ওভারে মাত্র ১৫ রান দিয়ে পেয়েছেন ১ উইকেট। তবে হারলেও ম্যাচসেরার পুরস্কার জিতেছেন বরুণ।
