জাতীয় নারী দলের ফুটবলাররা আবারও অনুশীলন বয়কট করেছেন। অথচ আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি সংযুক্ত আরব আমিরাতে দুটো ম্যাচ খেলতে যাওয়ার কথা রয়েছে সাবিনা খাতুনদের। সেখানে প্রথমে সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে ২৬ ফেব্রুয়ারি ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচে অংশ নেবে বাংলাদেশ। এরপর ২ মার্চ একটি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবেন ফুটবলাররা।
এই দুটি ম্যাচ ও জুনের এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের প্রস্তুতির অংশ হিসেবে ১৫ জানুয়ারি জাতীয় নারী দলের ক্যাম্প শুরু হয়েছে। এতদিন সহকারী কোচ মাহবুবুর রহমানের অধীনে অনুশীলন চলছিল। এরপর প্রধান কোচ পিটার বাটলার ইংল্যান্ড থেকে ঢাকায় আসেন সোমবার রাতে। বাফুফে সূত্রের খবর, এই বৃটিশ কোচ আসার পর মঙ্গলবার তার অধীনে প্রথম অনুশীলনে অংশ নেননি সিনিয়র ফুটবলাররা। এমনকি দীর্ঘদিন পর ক্যাম্পে ফিরে মেয়েদের সঙ্গে মিটিং করতে চেয়েছিলেন বাটলার। কিন্তু কোচের ডাকেও সাড়া দেননি মেয়েরা। অংশ নেননি কোচের সঙ্গে মিটিংয়ে। বুধবারও কেউ অনুশীলনে যাননি।
এ দিকে নারী ফুটবলাররা অক্টোবরের পর থেকে আর কোনও বেতন পাননি। নতুন করে তাদের সঙ্গে চুক্তি করার কথা বাফুফের। সেই চুক্তি সেরে তবেই অনুশীলনে অংশ নিতে চান মেয়েরা।
এছাড়া পিটার বাটলারের অধীনে সিনিয়র ফুটবলররা অনুশীলন করতে আগ্রহী নন। গত বছর অক্টোবরে সাফ ফুটবলের সময় থেকেই বাটলারের সঙ্গে দূরত্ব বেড়েছে সাবিনাদের। সেই জেরে বাটলারকে কোচ হিসেবে আর চাননি মেয়েরা। কিন্তু তারপরও বাটলারকে আরও দুই বছরের জন্য চুক্তিবদ্ধ করেছে বাফুফে। এসব ইস্যুতে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়ালের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চান ফুটবলাররা।
কিন্তু তাবিথ আউয়াল এই মুহূর্তে ইংল্যান্ডে। একই সঙ্গে জাতীয় দলের ক্যাম্পও শুরু হয়েছে। অথচ বাফুফে সভাপতি ঢাকায় আসা পর্যন্ত অপেক্ষা না করেই তারা অনুশীলন বয়কট শুরু করেছে।
এ প্রসঙ্গে বাফুফের নারী ফুটবল কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণের কাছে জানতে চাইলে তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আমি এখন মিটিংয়ে আছি। এ বিষয় নিয়ে পরে কথা বলব।”
এর আগে ২০২৩ সালের জুলাই মাসেও বেতন বৃদ্ধির দাবিতে একবার ক্যাম্প বয়কট করেন সাবিনা, সানজিদারা।