হারতেই ভুলে গিয়েছিল রংপুর রাইডার্স। এবারের বিপিএলে একের পর এক জয়ে সবার আগে প্লে অফও নিশ্চিত করে গ্লোবাল সুপার লিগের শিরোপা জিতে আসা দলটি। তবে উড়তে থাকা ছন্দ ধরে রাখতে পারেনি। প্লে অফ নিশ্চিত হওয়ার পরই উল্টো পথে হাঁটছে। টানা হারের তালিকায় এবার যুক্ত হলো চিটাগং কিংসের ধাক্কা।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) দিনের প্রথম খেলায় রংপুরকে ৫ উইকেটে হারিয়েছে চিটাগং। এই জয়ে চিটাগং প্লে অফে এক পা দিয়ে রাখল। ১০ ম্যাচ শেষে ১২ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে উঠে এসেছে মোহাম্মদ মিঠুনরা। অন্যদিকে টানা তৃতীয় হারেও ১১ ম্যাচে ১৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রংপুর।
চিটাগংয়ের চমৎকার বোলিংয়ে সুবিধা করতে পারেননি রংপুরের ব্যাটাররা। নির্ধারিত ২০ ওভারে ৫ উইকেটে ১৪৩ রান করতে পারে দলটি। এই লক্ষ্য হায়দার আলীর তোপে ১৫ বল আগে ৫ উইকেট হারিয়ে টপকে যায় চিটাগং।
মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় রংপুর। রানের খাতা খোলার আগেই বিদায় নেন স্টিভেন টেলর। ওয়ান ডাউনে নেমে সাইফ হাসানও (৮) ব্যর্থ। সৌম্য সরকার কয়েকটি ভালো শট খেললেও ইনিংস বড় করতে পারেননি। ১৭ বলে ২ চার ও ১ ছক্কায় ২৩ রান করে বিদায় নেন বাঁহাতি ওপেনার।
টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পর রংপুরের হাল ধরেন ইফতিখার আহমেদ। এই ব্যাটার খেলেন হার না মানা ৬৫ রানের ইনিংস। ৪৭ বলে ৭ চার ও ৩ ছক্কায় সাজানো তার ইনিংসের ওপর ভর দিয়েই ১৪৩ রান করতে পারে রংপুর। শেখ মেহেদী হাসান ২০ বলে অপরাজিত থাকেন ২২ রানে।
চিটাগংয়ের আলিস আল ইসলাম চমৎকার বল করেছেন। কোনও উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে দিয়েছেন মাত্র ১৪ রান। বিনুরা ফের্নান্ডোও ছিলেন দুর্দান্ত। তিনিও উইকেট পাননি, তবে ৪ ওভারে খরচ করেছেন ১৫ রান। খালেদ আহমেদ ৪ ওভারে ৪৪ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট।
১৪৪ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে হায়দারের বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে জয় নিশ্চিত করে চিটাগং। পারভেজ হোসেন ইমনের গড়ে দেওয়া ভিতের ওপর দাঁড়িয়ে জয় নিশ্চিত করে মাঠ ছাড়েন পাকিস্তানি ব্যাটার। ইমন ৪৩ বলে করেন ৪১ রান। হায়দার টানা চার ছক্কায় শেষ করেছেন ম্যাচ। তিনি ১৮ বলে ১ চার ও ৬ ছক্কায় অপরাজিত ছিলেন ৪৮ রানে। ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে তারই হাতে।
রংপুরের মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ২ ওভারে ২৫ রান দিয়ে নেন ২ উইকেট। পেসার আকিফ জাভেদ ৩.৪ ওভারে পেয়েছেন ২ উইকেট।