Beta
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারি, ২০২৫

সালমান রহমানের আইনজীবীদের সঙ্গে সাংবাদিকদের বাগবিতণ্ডা

dhaka-cmm-court-220924-01
[publishpress_authors_box]

সংবাদ সংগ্রহ করতে গিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমানের আইনজীবীদের বাধার মুখে পড়েছেন সাংবাদিকরা। এতে ঢাকার একটি আদালতের এজলাসে হট্টগোল সৃষ্টি হয়। নিম্ন আদালতে দায়িত্বরত বিভিন্ন গণমাধ্যামের সাংবাদিক ও আইনজীবীদের মধ্যে কথাকাটাকাটিও হয়।

বুধবার মুখ্য মহানগর হাকিম এম এ আজহারুল ইসলামের আদালতে এসব ঘটনা ঘটে।

এদিন বিভিন্ন থানার মামলায় গ্রেপ্তার ও রিমান্ড শুনানির জন্য সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলাম, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ডের এমডি দিলীপ কুমার আগারওয়াল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক তানভীর হাসান সৈকতসহ আরও কয়েকজনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

সকাল ১০ টার দিকে আসামিদের হাজতখানা থেকে এজলাসে নেওয়া হয়। আসামিদের কাঠগড়ায় তোলার সঙ্গে সঙ্গেই সালমান এফ রহমানসহ অন্য আসামিদের আইনজীবীরা কাঠগড়ার চারপাশ ঘিরে ধরেন। সালমান এফ রহমানসহ সব আসামি তাদের আইনজীবীদের সঙ্গে কথা বলতে থাকেন।

এরপর সকাল ১০ টা ১২ মিনিটে এজলাসে ওঠেন বিচারক। এসময় সংবাদ সংগ্রহরে কাজে কয়েকজন সাংবাদিক আদালতের ভেতরেই ছিলেন এবং বিভিন্ন বিষয়ের নোট নিচ্ছিলেন।

বিচারক প্রবেশের কিছুক্ষণ পরই কয়েকজন আইনজীবী দুই সাংবাদিককে লক্ষ্য করে মোবাইলে ছবি তোলার ও ভিডিও করার অভিযোগ আনেন। তবে তারা এ অভিযোগ অস্বীকার করেন এবং বলেন যে, তারা মোবাইলে নোট নিচ্ছেন।

এসময় সাংবাদিকরা আদালতকক্ষে কী করছে, এ প্রশ্নও তোলেন কয়েকজন আইনজীবী। বিষয়টি নিয়ে তখন দায়িত্বরত সাংবাদিকদের সঙ্গে আইনজীবীদের কথাকাটাকাটি হয়। আইনজীবীরা ইচ্ছাকৃতভাবে হেনস্তা করছেন বলে অভিযোগ করেন সাংবাদিকরা। 

ভুক্তভোগী এক সাংবাদিক বলেন, “আমরা দীর্ঘদিন ধরে আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকতা করে আসছি। সালমান এফ রহমানসহ বিভিন্ন আসামিরা আইনজীবীদের মাধ্যমে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার উৎখাতের নানা বার্তা আদান প্রদান করেন। দুইদিন আগে সাংবাদিকরা এ বিষয়ে প্রতিবেদন করেছিলেন। যার পরিপ্রেক্ষিতে আজ সব সাংবাদিকের ওপর নজর রাখছিলেন সালমান এফ রহমানের আইনজীবীরা।

“এজন্য হঠাৎ করেই এজলাস কক্ষে সাংবাদিক রয়েছে কেন প্রশ্ন তোলাসহ ছবি ও ভিডিও করার মিথ্যা অভিযোগ তুলে আদালত প্রাঙ্গণ অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।”

এর আগে সোমবার এই আসামীদের আদালতে তোলা হলে তাদের কেউ কেউ টিস্যু পেপারে লিখে আইনজীবীদের সঙ্গে বার্তা আদান-প্রদান করেন বলে যুগান্তরের এক প্রতিবেদনে প্রকাশ করা হয়েছে। ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, সালমান এফ রহমান তার আইনজীবীদের মাধ্যমে শ্রমিকদের সরকারের বিরুদ্ধে মাঠে নামতে পরামর্শ দিচ্ছিলেন।

সাংবাদিকরা আদালতে পেশাগত দায়িত্ব পালন করবেন জানিয়ে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী বলেন, “আইনজীবীরা কেন বাধা দেবে? আদালতের সামনে ছিলাম বলে আজকের পুরো ঘটনা দেখিনি। তবে পরবর্তীতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কেউ যেন এ ধরনের আচরণ না করতে পারে সে বিয়ষটি খেয়াল রাখব।”

এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম বলেন, “যেসব আইনজীবী হেনস্তা করেছেন, তাদের নাম দিলে আমরা ঢাকা আইনজীবী সমিতি থেকে ন্যায় বিচারের ব্যবস্থা করব। আইনানুগভাবে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যা যা করার দরকার আমরা প্রতিকার করব।”

তিনি সাংবাদিকদের কাছে অভিযুক্ত আইনজীবীদের পরিচয়ও জানতে চান।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত