নাহ মেহেদি হাসান মিরাজ তার খুলনা টাইগার্স দল নিয়ে পারিশ্রমিক নিয়ে সমস্যায় পড়েননি। মালিকপক্ষ থেকে নিয়মিত অর্থ পাওয়ায় দুশ্চিন্তামুক্ত তারা। তবে সতীর্থ বা অন্য দলের জটিলতা ভাবায় মিরাজকেও। বুধবার জানিয়েছেন টাকার জন্যই তো ক্রিকেট খেলেন তারা।
এক–দুটি নির্দিষ্ট ফ্র্যাঞ্চাইজিকে ঘিরে এবারের বিপিএলের সুনাম একেবারে মাটিতে মিশেছে। দুর্বার রাজশাহীর বিদেশি ক্রিকেটাররা এতটাই বিরক্ত যে পারিশ্রমিক নিয়ে তাদের দরজায় কড়া নেড়েও সাড়া পাওয়া যায়নি।
পাকিস্তানি মোহাম্মদ হারিস টানা দুই ম্যাচ খেলতে মাঠে আসেননি। শ্রীলঙ্কার লাহিরু সামারাকুন দেশেই ফিরে গেছেন বলে খবর এসেছে।
খুলনা টাইগার্স এ ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত সুনামের সঙ্গে ফ্র্যাঞ্চাইজি পরিচালনা করছে। টাকাপয়সা নিয়ে ক্রিকেটারদের অভিযোগ নেই, অন্যান্য দিক দিয়েও তাদের কার্যক্রম বেশ পরিচ্ছন্ন। কিন্তু মেহেদী হাসান মিরাজ তো আর শুধু খুলনার অধিনায়ক নন, বাংলাদেশ দলের একজন সিনিয়র ক্রিকেটার, বাংলাদেশের সব ক্রিকেটারেরই প্রতিনিধি।
নিজেরা টাকাপয়সা ঠিকঠাকভাবে পেলেও সতীর্থদের সমস্যা নিজের সমস্যাই মনে করছেন এই অলরাউন্ডার, “অবশ্যই এতে খারাপ লাগছে। দিনশেষে তো আমরা খেলোয়াড়েরা ক্রিকেট খেলি টাকার জন্য। যদি পারিশ্রমিক না পাই, প্রত্যেক খেলোয়াড়ের জন্যই খারাপ। ক্রিকেট বোর্ড অবশ্যই এ ব্যাপারে কথা বলবে। তারা আমাদের দায়িত্ব নিয়ে ফ্র্যাঞ্চাইজি মালিকদের সঙ্গে কথা বলবে।”
নিজেদের পারিশ্রমিকের ব্যাপারে মিরাজ জানিয়েছেন, এরই মধ্যে ৪০ শতাংশ টাকা তাদের হাতে এসেছে। চলতি সপ্তাহের মধ্যে আরো ৩০-৩৫ শতাংশ টাকা পেয়ে যাবেন তারা।
মিরাজ আশা করেন বিপিএল বাংলাদেশের দুর্নাম নয় সুনাম গড়বে, “আমাদের প্রত্যেকেরই দায়িত্ব বাংলাদেশের ক্রিকেটের যেন কোনো রকম বদনাম না হয়। আমরা যেভাবে খুব সুন্দরভাবে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে খেলছি, আমরা ভালো করলে সবাই বাহবা দেয়; আমাদের প্রত্যেকের উচিত সেটা ধরে রাখা।”
