প্রতারণা ও বোর্ড সভার অনুমোদন ছাড়া উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেড থেকে ঋণের নামে দুটি প্রতিষ্ঠানে ৪ কোটি ২০ লাখ টাকা দিয়ে পরে তা উত্তোলন, আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুই মামলায় উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এস এম শামসুল আরেফীনসহ আট জনকে আসামি করা হয়েছে।
বুধবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এই দুই মামলা করেন দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রাকিবুল হায়াত।
দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম জানান, এক মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজসে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টে কোনও রেকর্ডপত্র জমা না দিয়ে এবং বোর্ড সভায় উপস্থাপন বা অনুমোদন না নিয়ে বেঙ্গল গ্যাস লিমিটেডের নামে ২ কোটি ৭০ লাখ টাকা স্থানান্তর করা হয়।
এ মামলায় শামসুল আরেফীন ছাড়াও বেঙ্গল গ্যাস লিমিটেডের চেয়ারম্যান ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী মো. আব্দুল ওয়াদুদ, প্রতিষ্ঠানটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক গাউস মোহাম্মদ হাসান জাহিদ এবং তার স্ত্রী পরিচালক মনোয়ারা বেগমসহ আট জনকে আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অফ ট্রেজারি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজী আরিফুজ্জামান, সাবেক এসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম কামরুজ্জামান, সাবেক কর্মকর্তা মিঠু কুমার সাহাকে আসামি করা হয়েছে।
অন্য মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে পরস্পর যোগসাজসে প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে, ক্ষমতার অপব্যবহার করে উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্টে কোনও রেকর্ডপত্র জমা না দিয়ে এবং বোর্ড সভায় উপস্থাপন বা অনুমোদন না নিয়ে কাজী এনার্জি রিসোর্স লিমিটেডের নামে দেড় কোটি টাকা স্থানান্তরের অভিযোগ আনা হয়।
এ মামলায় শামসুল আরেফীন ছাড়াও কাজী এনার্জি রিসোর্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সাবেক প্রতিমন্ত্রী আব্দুল ওয়াদুদ, তার স্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মনোয়ারা বেগমসহ সাত জনকে আসামি করা হয়েছে।
অন্য আসামিরা হলেন, উত্তরা ফাইন্যান্স এন্ড ইনভেস্টমেন্টের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট ও হেড অফ ট্রেজারি মোহাম্মদ মাইন উদ্দিন, সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাজী আরিফুজ্জামান, সাবেক অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট এস এম কামরুজ্জামান এবং সাবেক কর্মকর্তা মিঠু কুমার সাহা।
দুই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধি, ১৮৬০ এর ৪০৯/৪২০/১০৯ ধারা, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর ৪(২) ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
