চোট পেয়েছিলেন আলিস আল ইসলাম। ফিরেও গিয়েছিলেন প্যাভিলিয়নে। তার দৌড়ানোর উপায় ছিল না। সেই আলিস আল ইসলামই শেষ বলে চার মেরে বিপিএলের ফাইনালে নিয়ে গেছেন চিটাগং কিংসকে। খুলনা টাইগার্সের বিপক্ষে চিটাগং পেয়েছে ২ উইকেটের রুদ্ধশ্বাস জয়।
খুলনার মুশফিক হাসানের শেষ বলে চার মেরে ব্যাট শূন্যে উড়িয়ে উদযাপন করা আলিসকে নিয়ে ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে চিটাগংয়ের খাজা নাফি বললেন, ‘‘ওকে বলা হয়েছিল, গিয়ে (ক্রিজে) রান না নিয়ে চার মারো—কারণ, শেষ বলে ওটাই দরকার ছিল।’’
চোট পাওয়া আলিস চার মারতে পারবেন, এই ভরসা কতটা ছিল চিটাগংয়ের? নাফি জানালেন, ‘‘দলের পুরো ভরসা ছিল আলিসের ওপর। কারণ, গত কয়েক ম্যাচে সে রান করেছে। তার ওপর আমাদের ভরসা ছিল যে চার অথবা ছক্কা মেরে দেবে।’’
দুই বল আগে আলিসের ফিরে আসা নিয়ে নাফি বললেন, ‘‘শন (কোচ টেইট) ওর কাছে জানতে চেয়েছে ‘তুমি চলে এসেছ কেন’। সে বলেছে ‘পায়ে ব্যথা পেয়েছি’। তাই দৌড়ে রান নিতে পারত না। শরীফুল চার মেরে আউট হয়ে যায়। এরপর আমাদের হাতে কেবল আলিসই অপশন ছিল।’’
রাজশাহীর মতো না হলেও চিটাগং কিংসের ক্রিকেটারদের পারিশ্রমিক নিয়ে নেতিবাচক আলোচনা চলছিল। তবে নাফি নিশ্চিত করেছেন, ৬০–৭০ শতাংশ পারিশ্রমিক পেয়েছেন ক্রিকেটাররা।
ফাইনালের এত কাছে গিয়েও ব্যর্থ হওয়ায় হতাশ খুলনার অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। হারের জন্য জেসন হোল্ডারের করা ১৮তম ওভারটিকেই দায়ী করছেন তিনি। সংবাদ সম্মেলনে বললেন, ‘‘আমাদের পরাজয়ের আসল কারণ ছিল হোল্ডারের তৃতীয় ওভার (ইনিংসের ১৮তম)। ওই ওভারে যে ১৩ রান এল, সেটাই ঘুরিয়ে দিয়েছিল ম্যাচ। আন্তর্জাতিক এবং ফ্র্যাঞ্চাইজি ক্রিকেটে হোল্ডারের মতো অভিজ্ঞ বোলারের কাছ থেকে এমন বোলিং আশা করিনি।’’
মিরাজ আরও যোগ করেন, ‘‘শেষ ওভারে মুশফিক হাসানের ১৫ রান খাওয়ার ফলে আমরা হেরেছি ঠিকই, কিন্তু আমার কাছে মনে হয়, ম্যাচটা আমাদের হাতছাড়া হয়ে গেছে (১৮তম ওভারে) ওই ১৩ রান দেওয়াতেই।’’