টি-টোয়েন্টির ফেরিওয়ালা রশিদ খান। আইপিএল, বিপিএল, পিএসএল থেকে শুরু করে কম দেশের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগই আছে যেখানে খেলেননি তিনি। তাতে টি-টোয়েন্টির সবচেয়ে বেশি ৬৩৩ উইকেটের মালিক এখন রশিদ খান।
ক্রিস্তিয়ানো রোনালদো যেমন স্বপ্ন দেখছেন প্রথম ফুটবলার হিসেবে ফুটবলে ১০০০ গোলের। তেমনি রশিদ খানও চান ১০০০ উইকেটের মাইলফলকে পা রাখতে। ক্রিকইনফোকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বললেন, ‘‘আমি ফিট আছি আর ভালো করছি। টি-টোয়েন্টিতে হাজার উইকেট পাওয়া বিশাল ব্যাপার। সেটা হয়ে গেলে অবিশ্বাস্যই লাগবে। আশা করি, আমি ফিট থাকব। যদি আগামী তিন-চার বছর এভাবে ক্রিকেট খেলি, তাহলে সেখানে পৌঁছাতে পারব বলে মনে হয় আমার।’’
রশিদ আরও যোগ করলেন, ‘‘আমার জন্য এটা অনেক বড় অর্জন। কারণ ২০১৪-১৫ মৌসুমের দিকে যদি তাকাই, আমি কখনও কল্পনা করিনি বিশ্বব্যাপী টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলে বেড়াব। উন্নতি ধরে রাখতে নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করে যাব আমি।’’
ডোয়াইন ব্রাভোর ৬৩১ উইকেটের দীর্ঘদিনের রেকর্ডটা ভেঙেছেন রশিদ। কীর্তিটা গড়ার পর ব্রাভো তাকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এই আফগান লেগ স্পিনার, ‘‘রেকর্ড গড়ার পর আমাদের কথা হয়েছে। তিনি খুব খুশি ছিলেন। বলেছেন আমার এটা প্রাপ্য। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ব্রাভো যখন আফগানিস্তানের বোলিং কোচ ছিলেন তখন অসাধারণ সময় কাটিয়েছি একসঙ্গে।’’
এত সমৃদ্ধ ক্যারিয়ারে সেরা বোলিং স্পেল কোনটা? এমন প্রশ্নে রশিদ নিলেন বাংলাদেশের নাম। গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে আফগানিস্তান ১১৫ রান করেও জিতেছিল রশিদ ২৩ রানে ৪ উইকেট নেওয়ায়। তাতে সেমিফাইনাল নিশ্চিত হয় আফগানিস্তানের, যেটাকে ক্যারিয়ারের সেরা মুহূর্ত বলেছেন রশিদ।
বাংলাদেশের বিপক্ষে স্পেলটাকে তাই ক্যারিয়ারের অন্যতম সেরা স্পেল বললেন রশিদ, ‘‘(সেরা স্পেলের কথা বললে) আমি তিনটার নাম নিব। এর একটা গত বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে। সেই বিশ্বকাপে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষেও ১৭ রানে ৪ উইকেট নিয়েছিলাম। তবে সেই ম্যাচ আর বাংলাদেশের ম্যাচের মধ্যে অনেক পার্থক্য আছে। কঠিন পরিস্থিতিতে মাত্র ১১৫ রান করে জিতেছিলাম (হারলে সেমিফাইনাল স্বপ্ন ভেঙে যেতে পারত) বলে এটাকে উপরে রাখছি কিছুটা। আরেকটা স্পেল হচ্ছে ২০১৮ সালের আইপিএলের দ্বিতীয় কোয়ালিফায়ারে ১৯ রানে ৩ উইকেট। বিগ ব্যাশে অ্যাডিলেড স্ট্রাইকার্সের হয়ে ১৭ রানে ৬ উইকেট নেওয়াটাকেও রাখব আমি, কারণ অস্ট্রেলিয়ায় বল করা কঠিন।’’