যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মিত্র বিশ্বের শীর্ষ ধনী ইলন মাস্কের দপ্তর ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সিকে দেশটির ট্রেজারি দপ্তরের নথিতে থাকা লাখ লাখ নাগরিকের ব্যক্তিগত আর্থিক তথ্য দেওয়ার ওপর নিষেধজ্ঞা দিয়েছেন কেন্দ্রীয় আদালতের এক বিচারক।
বিবিসি জানিয়েছে, শনিবার এক আদেশে যুক্তরাষ্ট্রের কেন্দ্রীয় আদালতের বিচারক পল এ এঙ্গেলমেয়ার এই নিষেধাজ্ঞা দেন।
আদেশে বলা হয়, মাস্ক ও তার দপ্তরের লোকজনের হাতে যদি ট্রেজারি দপ্তরের নথির কোনও অনুলিপি থাকে, তা যেন অবিলম্বে ধ্বংস করে ফেলা হয়।
ট্রেজারি দপ্তরের নথিতে থাকা ব্যক্তিগতভাবে শনাক্তযোগ্য বা গোপনীয় তথ্য দপ্তরটির বাইরে কর্মরত বিশেষ সরকারি কর্মচারী, রাজনৈতিক নিয়োগপ্রাপ্তসহ অন্য কর্মচারীদের দেওয়ার ওপরও নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে আদালত।
গত সপ্তাহে যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ব্যয় কমানোর দায়িত্বপ্রাপ্ত মাস্কের দপ্তর ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সিকে ট্রেজারি দপ্তরের নথির প্রবেশাধিকার দেওয়া হয়।
প্রতিবাদে গত শুক্রবার প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প, ট্রেজারি দপ্তর ও এই দপ্তরের মন্ত্রী স্কট বেসেন্টের বিরুদ্ধে কেন্দ্রীয় আদালতে মামলা করেন যুক্তরাষ্ট্রের ১৯টি অঙ্গরাজ্যের ডেমোক্র্যাট অ্যাটর্নি জেনারেলরা।
তাদের ভাষ্য, যুক্তরাষ্ট্র সরকারের ‘বিশেষ সরকারি কর্মচারী’ মাস্ক ও তার দপ্তর ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সি, যা সরকারের আনুষ্ঠানিক কোনও দপ্তরই নয়, উভয়ই কেন্দ্রীয় আইন লঙ্ঘন করেছে।
শনিবার এ নিয়ে শুনানি শেষে বিচারক পল এ এঙ্গেলমেয়ার বলেন, “অবিলম্বে উদ্ভূত সংকটের সমাধান করা না হলে যুক্তরাষ্ট্রের অঙ্গরাজ্যগুলো অপূরণীয় ক্ষতির সম্মুখীন হবে।
“ইলম মাস্কের ডিপার্টমেন্ট অব গভর্নমেন্ট এফিশিয়েন্সির কর্মকর্তাদের ট্রেজারি দপ্তরের নথি পাওয়ার এই নতুন নীতি সংবেদনশীল ও গোপনীয় তথ্য প্রকাশের ঝুঁকি যেমন সৃষ্টি করবে, তেমনি সংশ্লিষ্ট সিস্টেমগুলো আগের চেয়ে হ্যাকিংয়ের জন্য আরও বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়বে।”
বিচারকের ওই আদেশ শুনে এরই মধ্যে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন টেসলার মালিক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) ইলন মাস্ক।
নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে আদালতের আদেশটিকে ‘একেবারেই অপ্রকৃতিস্থ’ হিসেবে অভিহিত করেছেন তিনি।
মাস্ক পাল্টা প্রশ্ন রেখে বলেছেন, “আমরা তাহলে জোচ্চুরি কীভাবে বন্ধ করব? জনগণের টাকা কোথায় খরচ হচ্ছে সেটা না জেনে এর অপচয় রোধ করবই বা কীভাবে?”