রান খরা চলছিল ব্যাটে। টেস্ট, ওয়ানডে, টি-টোয়েন্টি-রান পাচ্ছিলেন না কোথাও। অবশেষে সেঞ্চুরিতেই রোহিত শর্মা কাটালেন রান খরা। কটকে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে খেললেন ৯০ বলে ১২ বাউন্ডারি ৭ ছক্কায় ১১৯ রানের বিধ্বংসী ইনিংস। তাতে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ভারত ৪ উইকেটে হারাল ইংল্যান্ডকে।
জস বাটলারের দলের ৩০৪ রানের চ্যালেঞ্জ ভারত পেরিয়ে যায় ৩৩ বল আর ৪ উইকেট হাতে রেখে। রোহিত ওয়ানডেতে সেঞ্চুরি করলেন ১৬ মাস পর। সবশেষ ২০২৩ সালের ১১ অক্টোবর সেঞ্চুরি করেছিলেন ভারতীয় অধিনায়ক। বিধ্বংসী ইনিংসে এবার ভারতকে সিরিজে জয় এনে দিলেন ২-০’তে।
নিজের রানে ফেরার রহস্য জানিয়ে রোহিত বললেন, ‘‘কীভাবে ব্যাট করব সেটা কয়েক ভাগে ভাগ করে নিয়েছিলাম। এই ফরম্যাটটা টি-টোয়েন্টির থেকে বড় আর টেস্টের চেয়ে অনেক ছোট। তবু পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যাট করতে হয়। চেয়েছিলাম মনোযোগ ধরে রেখে যতটা বেশি সময় সম্ভব ব্যাট করতে।’’
কালো মাটির পিচে ব্যাট করা যে সহজ ছিল না রোহিত স্মরণ করিয়ে দিয়েছেন সেটাও, ‘‘এই পিচে বল পড়ে মাঝেমাঝে পিছলে ব্যাটে আসে। ব্যাটের মাঝখান দিয়ে শট খেলা গুরুত্বপূর্ণ। ওরা চাইছিল আমার শরীর লক্ষ্য করে বল করতে। শট খেলার জায়গা দিতে চাইছিল। আমি নির্দিষ্ট পরিকল্পনা নিয়ে ব্যাট করে চেষ্টা করেছি ফিল্ডিংয়ের কাজ খুঁজে বার করার।’’
৭৬ বলে সেঞ্চুরি করেন রোহিত যা ওয়ানডেতে তার দ্বিতীয় দ্রুততম। ২০২৩ সালের অক্টোবরে বিশ্বকাপে আফগানিস্তানের বিপক্ষে সেঞ্চুরি করেছিলেন ৬৩ বলে। এরপর সেঞ্চুরিই প্রথম পেলেন রবিবারের ম্যাচে ইংল্যান্ডের সঙ্গে। ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ছক্কার রেকর্ডের তালিকায় ক্রিস গেইলকে ছাড়িয়ে দুই নম্বরেও উঠে এসেছেন রোহিত (৩৩৮টি ছয়)।
রোহিতের ছন্দে ফেরা চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে ভারতের জন্য স্বস্তির। তবে কেবল ৫ রানেই আউট হয়েছেন ফর্ম হারানো বিরাট কোহলি। শুবমান গিল ৬০ আর শ্রেয়াস আয়ার করেছিলেন ৪৪। এর আগে ইংল্যান্ডের হয়ে জো রুট ৬৯ ও বেন ডাকেট করেছিলেন ৬৫ রান। রবীন্দ্র জাদেজা ৩৫ রানে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট।