Beta
বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

সাইবার ট্রাইব্যুনাল অনির্দিষ্টকালের জন্য বর্জনের ঘোষণা আইনজীবীদের

cyber tribunal
[publishpress_authors_box]

টানা তিন দিনের আন্দোলনের পর অনির্দিষ্টকালের জন্য ঢাকার সাইবার ট্রাইব্যুনাল বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন ঢাকা বারের আইনজীবীরা।

মঙ্গলবার ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির সভাপতি খোরশেদ মিয়া আলম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, “সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক এজলাসে বসে আইনজীবীদের সম্পর্কে কটুক্তি করেন, অশালীন আচরণ করেন। বহু আইনজীবীর সঙ্গে এমন দুর্ব্যবহার, খারাপ আচরণ ও অসৌজন্যমূলক আচরণের কারণে উদ্ভুত পরিস্থিতিতে ঢাকা আইনজীবী সমিতিতে এক জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। আইনজীবী সমিতির সাবেক, বর্তমান সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকসহ সবাই মিলে সিদ্ধান্ত হয়েছে যে, আগামীকালকে থেকে এই আদালত অনির্দিষ্টকালের জন্য বর্জন করা হবে।”

সংশ্লিষ্ট কয়েকজন জানিয়েছেন, সকাল সাড়ে ৮ টায় আদালতে আসেন বিচারক নূরে আলম। পরে সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে একজন আইনজীবী গিয়ে তাকে বলেন, “আদালত যেন আজ না বসে।”

আইনজীবী এসে বলে যাওয়ার পর বিচারক আর এজলাসে উঠেননি।

ঘটনার সূত্রপাত গত বৃহস্পতিবার। সেদিন এক আসামির জামিন নামঞ্জুর করায় উপস্থিত আসামিপক্ষের আইনজীবীরা বিচারককে লক্ষ্য করে ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এসময় বিচারক এজলাস ত্যাগ করে খাস কামরায় চলে যান।

এরপর রবিবার আইনজীবীরা বিচারকের বিরুদ্ধে আন্দোলন শুরু করেন। আন্দোলনের মুখে ওইদিন এজলাসে ওঠেননি বিচারক। সেদিন বিচারক নূরে আলম আদালতে এলেও বিচার কাজ হয়নি। পরদিন সোমবার বেলা ১১ টা ১৫ মিনিটে এজলাসে উঠেন বিচারক। এসময় আদালত চত্ত্বরে নিরাপত্তার স্বার্থে অতিরিক্ত পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হয়। কয়েকজন আইনজীবী নিয়মিত মামলার শুনানি করেন।

এরই মাঝে ঢাকা আইনজীবী সমিতির অ্যাডহক কমিটির সদস্য শামসুজ্জামান দীপুর নেতৃত্বে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা বিচারকাজ পরিচালনায় বাধা দেন।

তারা বিচারককে উদ্দেশ্য করে বলেন, “আপনি কি পুলিশ দিয়ে কোর্ট চালাবেন? আপনার প্রতি অনাস্থা জানিয়েছি। আপনি চলে যান।”

হট্টগোলের এক পর্যায়ে বেলা ১২ টার দিকে এজলাস ত্যাগ করেন বিচারক। পরে আর এজলাসে ওঠেননি তিনি। এরপর আজ আদালত বর্জনের ঘোষণা এল।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত