Beta
বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে লক্ষ্য চ্যাম্পিয়ন হওয়ার

Bangladesh
[publishpress_authors_box]

সবশেষ চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে বাংলাদেশের ফল কি ছিল? চট করে বলে দিতে পারবে না অনেকেই। কারণ ৮ বছর আগের ট্রফির হিসেবটা এখন আর গোণায় ধরা যায় না। তবুও যদি চোখ রাখাই হয় তবে উচ্চাশা করতে বাধা নেই।

সেবার সেমিফাইনালে খেলেছিল বাংলাদেশ। তাই এবার ফাইনালে খেলা এবং চ্যাম্পিয়ন হওয়ার স্বপ্ন দেখাটা দোষের কিছু নয়।

২০১৭তে হওয়া ওই চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে গ্রুপ পর্বে মাত্র একটি ম্যাচ জিতে সেমিফাইনালে উঠেছিল বাংলাদেশ। ইংল্যান্ডের সঙ্গে হেরে যাওয়ার পর দ্বিতীয় ম্যাচে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটি বৃষ্টিতে পণ্ড হয়। শেষ ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে শেষ চারে জায়গা করে নেয় বাংলাদেশ। সেমিফাইনালে ভারতের কাছে হেরে থামে অভিযান।

প্রথমবারের মতো কোন আইসিসি ইভেন্টে সেমিফাইনালে খেলার পথটা যেমনই হোক সিঁড়ি বেয়ে উঁচুতে ওঠায় মূল কথা। সেই থেকে কিছুটা আত্মবিশ্বাস এবার নিতে পারে বাংলাদেশ দল।

সেই আত্মবিশ্বাস থেকে বুধবার আনুষ্ঠানিক ফটোসেশন শেষে সংবাদ সম্মেলনে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য রাখলেন অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, “আমরা চ্যাম্পিয়ন হওয়ার লক্ষ্য নিয়ে যাচ্ছি। আমাদের দলের এই সক্ষমতা আছে। সবাই এটাই চাচ্ছে, এটাই বিশ্বাস করে আমাদের ওই সক্ষমতা আছে। আমাদের রিজিকে আল্লাহ কী লিখে রেখেছেন আমরা জানি না। আমার কাছে মনে হয় আমরা ওইভাবে মেহনত করছি, আমাদের সততার সঙ্গে কাজ করছি। এবং প্রতিটা খেলোয়াড় বিশ্বাস করি আমাদের যে লক্ষ্য, ওই লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো।”

২০১৭ আসরের পর বাংলাদেশ দলকে নিয়ে আশার বেলুন অনেক উঁচুতেই উঠেছিল। ২০২৩ বিশ্বকাপে তাই শেষ চারের আশা রেখেছিল বাংলাদেশ। অথচ ওই আসর থেকে নিজেদের সেরা ফরম্যাটে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স পড়তির দিকে।

এছাড়া গত কিছুদিনে বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা ছিলেন টি-টোয়েন্টির আমেজে। সেখান থেকে ওয়ানডে ফরম্যাটের আইসিসি ইভেন্টে দ্রুত মানিয়ে নেওয়া কতটা সহজ। নাজমুল শান্ত বলছেন বাকি কিছুদিনে তা সম্ভব।

এমনিতে গত কয়েকদিনের অনুশীলনে ম্যাচ সিনারিও নিয়ে কাজ করেছে বাংলাদেশ দল। টুর্নামেন্ট শুরুর আগে আরও কিছুদিনের অনুশীলন এবং পাকিস্তান “এ” দলের বিপক্ষে দুবাইয়ের প্রস্তুতি ম্যাচে নিজেদের ওয়ানডে ফরম্যাটের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারবেন শান্তরা।

নাজমুল হোসেন শান্ত জানিয়েছেন, “আমাদের হাতে এখনো ছয়–সাতদিন আছে, এর মধ্যে আরও গুছিয়ে নিতে পারবো। সংস্করণের দিক থেকে একটু তো ভিন্নতা থাকেই। কিন্তু যেভাবে ব্যাটসম্যানরা খেলেছে, এই টুর্নামেন্টে উইকেটটা ভালো ছিল, আমরা যে কন্ডিশনে খেলবো আশা করছি এর চেয়ে ভালো উইকেট থাকবে। ব্যাটসম্যানরা ভালো প্রস্তুতি নিয়েছে। কীভাবে ৫০–৬০–৭০ থেকে ১০০–১৩০ করতে পারে, এটা গুরুত্বপূর্ণ। বোলাররাও এই উইকেটে ভালো বল করেছে।”

মিরপুর স্টেডিয়ামের ঠিক একই জায়গায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফটোসেশন করেছিলেন বাংলাদেশ ক্রিকেটাররা। সেদিনের মতো বুধবারের ফটোসেশনেও হাসিমুখে ছিলেন সবাই। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপটা কেটেছে মন্দের ভালো। এবার তার চেয়ে একটু ভালো হলেই স্বস্তি।   

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত