লন্ডনে ছেলের বাসায় ‘আগের চেয়ে অনেকটাই সুস্থ আছেন’ বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন জানান, “খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা এই মুহূর্তে স্থিতিশীল।”
দলের জাতীয় স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, “ম্যাডামের চিকিৎসা তার বড় সন্তান বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বাসা থেকেই হচ্ছে। বাসায় তার পুত্রবধূ ডা. জুবাইদা রহমান, সৈয়দা শর্মিলা রহমানসহ তিন নাতনি আছেন। ব্যারিস্টার জায়মা রহমান (তারেক রহমানের মেয়ে), জাহিয়া রহমান এবং জাফিয়া রহমানও (প্রয়াত আরাফাত রহমানের মেয়ে) তাদের দাদির সেবাযত্ন করছেন।”
খালেদা জিয়া মানসিকভাবে আগের চেয়ে অনেক ভালো আছেন জানিয়ে জাহিদ হোসেন বাসসকে বলেন, “ডাক্তাররা তাকে বাসায় গিয়ে দেখে এসেছেন। তার শারীরিক অবস্থা এই মুহূর্তে স্থিতিশীল।”
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য সবশেষ ২০১৭ সালের ১৬ জুলাই লন্ডনে গিয়েছিলেন। পরের বছর দুর্নীতির মামলায় দণ্ড নিয়ে কারাগারে যেতে হয় তাকে।
কোভিড মহামারি দেখা দিলে আওয়ামী লীগ সরকার নির্বাহী আদেশে তাকে মুক্তি দিয়ে বাড়িতে থাকার সুযোগ করে দিলেও বিদেশ যাওয়ার অনুমতি দেয়নি।
ছাত্র-জনতার অভ্যূত্থানে গত ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর মুক্তি পান খালেদা জিয়া। কারামুক্তির পাঁচ মাস পর জানুয়ারিতে উন্নত চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্যে যান তিনি।
গত ৮ জানুয়ারি লন্ডন ক্লিনিকে ভর্তি হন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। এর আগের দিন কাতারের আমিরের শেখ তামিম বিন হামাদ আল সানির পাঠানো বিশেষ অ্যাম্বুলেন্সে ঢাকা থেকে লন্ডনের হিথ্রো আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামেন তিনি। সেখান থেকে সরাসরি খালেদা জিয়াকে লন্ডন ক্লিনিকে নিয়ে যাওয়া হয়। ২৫ জানুয়ারি লন্ডন ক্লিনিক থেকে চিকিৎসদের ছাড়পত্র পেয়ে ছেলের বাসায় উঠেন তিনি।
৭৯ বছর বয়সী সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া দীর্ঘদিন থেকে লিভার সিরোসিস, কিডনি, হার্ট, ডায়াবেটিস, আর্থ্রাইটিসসহ নানা শারীরিক অসুস্থতায় ভুগছেন।
অধ্যাপক জাহিদ জানান, খালেদা জিয়া তার বড় ছেলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দায়িত্বপ্রাপ্ত চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে অর্থাৎ প্রফেসর প্যাট্টিক কেনেডি, প্রফেসর জেনিফার ক্রস এবং ড. ব্যারেডের অধীনে চিকিৎসাধীন আছেন।
তিনি বলেন, “চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে এখন বাসায় ম্যাডামের চিকিৎসা চলছে। যেসব পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা দরকার সেসবও মাঝে-মধ্যে করা হচ্ছে।”
খালেদা জিয়া কবে নাগাদ দেশে ফিরবেন এমন প্রশ্নের জবাবে জাহিদ হোসেন বলেন, “এখনই তা বলা যাচ্ছে না। চিকিৎসকরা যেদিন তাকে যাওয়ার জন্য পরামর্শ দেবেন বা ম্যাডাম মনে করবেন তিনি দেশে যাওয়ার মতো অবস্থায় মধ্যে আছেন তখনই ফিরবেন।”