দরজায় কড়া নাড়ছে চ্যাম্পিয়নস ট্রফি। ওয়ানডে বিশ্বকাপের পর এই ফরম্যাটের সবচেয়ে বড় আসর শুরুর আগে বড় ধাক্কা খেল অস্ট্রেলিয়া। অন্যদিকে তাদের ধরাশয়ী করে আত্মবিশ্বাসের পারদ চড়িয়ে নিল শ্রীলঙ্কা। কলম্বোর প্রথম ওয়ানডেতে ব্যবধান গড়ে দিয়েছে চারিথ আসালঙ্কার ইনিংসটি। অধিনায়কের দুর্দান্ত সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়াকে ৪৯ রানে হারিয়েছে লঙ্কানরা।
১৩৫ রানে ৮ উইকেট হারিয়ে বসেছিল স্বাগতিকরা। সেই জায়গা থেকে শ্রীলঙ্কা ২১৪ রান করতে পেরেছে আসালঙ্কার বীরত্বে। ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে লঙ্কান অধিনায়ক খেলেছেন ১২৭ রানের ইনিংস। ১২৬ বলের ইনিংসটি তিনি সাজিয়েছেন ১৪ চার ও ৫ ছক্কায়। আধুনিক ক্রিকেটে ২১৫ রানের লক্ষ্য কঠিন হওয়া কথা নয়। তবে অস্ট্রেলিয়াকে গুঁড়িয়ে দিতে মাহিশ থিকশানা সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার ঘূর্ণি জাদুতে ৩৩.৫ ওভারে ১৬৫ রানে গুটিয়ে গেছে সফরকারীরা।
চ্যাম্পিয়নস ট্রফির আগে ভালো নেই অস্ট্রেলিয়া। একের পর এক হারাচ্ছে সিনিয়র ক্রিকেটারদের। সর্বশেষ মিচেল স্টার্কও সরে দাঁড়িয়েছেন। এর মধ্যেই চ্যাম্পিয়নস ট্রফির ‘প্রস্তুতি’ হিসেবে শ্রীলঙ্কার মাঠে নেমেছিল স্টিভেন স্মিথরা। নতুন বোলিং বিভাগ নিয়ে অস্ট্রেলিয়ার পারফরম্যান্স মন্দ হয়নি। ৫৫ রানে ৫ উইকেট তুলে নিয়ে ভেঙে দেয় শ্রীলঙ্কার টপ অর্ডার। দুই ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কা (৪) ও আভিষ্কা ফার্নান্ডো (১) এবং কামিন্দু মেন্ডিস (৫) দুই অঙ্কের ঘরে যেতে পারেননি। কুশল মেন্ডিস ১৯ রান করে বিদায় নেন।
টপ অর্ডারের পর মিডল অর্ডারও ভেঙে পড়ে। তবে একা হাতে দাঁড়িয়ে যান আসালঙ্কা। সত্যিকার অধিনায়কের মতো সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার ওয়ানডে ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরিতে ৪৬ ওভারে ২১৪ রান করতে পারে শ্রীলঙ্কা।
অস্ট্রেলিয়ার সবচেয়ে সফল বোলার শন অ্যাবট। এই পেসার ৯ ওভারে ৬১ রান দিয়ে নেন ৩ উইকেট। স্পেনসার জনসন, অ্যারন হার্ডি ও নাথান এলিস প্রত্যেকে নেন ২টি করে উইকেট।
২১৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে শুরুতেই এলোমেলো অস্ট্রেলিয়া। ৩১ রানে হারিয়ে বসে ৪ উইকেট। ম্যাথু শর্ট (০), জ্যাক ফ্রেজার-ম্যাকগার্ক (২) ও কুপার কনোলির (৩) ব্যর্থতার পর অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ফেরে যান ১২ রান করে। দলীয় সর্বোচ্চ ৪১ রান আসে অ্যালেক্স ক্যারির ব্যাট থেকে।
থিকশানা ৯.৫ ওভারে ৪০ রান দিয়ে নেন ৪ উইকেট। আসিথা ফার্নান্ডো ও দুনিথ ভেল্লালাগে দুজনই পেয়েছেন ২টি করে উইকেট।