ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের জন্য ২ হাজার ৭৯৪ কোটি ৫৫ লাখ টাকা চেয়েছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচন পরিচালনা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষা খাতে এই অর্থ ব্যয় করা হবে।
বুধবার ইসির অতিরিক্ত সচিব কে এম আলী নেওয়াজ সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, আগামী ২০২৫-২৬ অর্থবছরে বরাদ্দ চেয়ে সরকারের কাছে একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছে কমিশন। সেখানে আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ও স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য ৫ হাজার ৯২২ কোটি টাকা বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য সরকারের কাছে যে টাকা চাওয়া হয়েছে, তার পরিমাণ কমতে পারে। সবকিছু ভোটের সময়কার পরিস্থিতির ওপর নির্ভর করবে।
ইসি সচিবালয়ের সঙ্গে বৈঠকের পরই সম্ভাব্য ব্যয়ের সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যাবে বলেও জানান তিনি।
২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি দেশে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। যে নির্বাচনে জয় পেয়ে সরকার গঠন করে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
কিন্তু এর মাত্র সাত মাসের মাথায় তীব্র ছাত্র-গণআন্দোলনের মধ্য দিয়ে পতন ঘটে আওয়ামী লীগ সরকারের। ৮ আগস্ট দেশ পরিচালনার দায়িত্ব নেয় ড. ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তী সরকার।
শুরু থেকেই সরকার রাষ্ট্র সংস্কারকে প্রথম গুরুত্ব দিয়ে আসছে। তবে বিএনপিসহ রাজনৈতিক দলগুলোর প্রথম দাবি, দ্রুত নির্বাচন। বিএনপি বারবারই বলে এসেছে, রাষ্ট্র সংস্কারের কাজ জনগণের নির্বাচিত সরকারের।
এরই মধ্যে গত ডিসেম্বরে বিজয় দিবসের দিন জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ২০২৫ সালের শেষ ভাগ থেকে ২০২৬ সালের মধ্য ভাগের মধ্যে নির্বাচন হতে পারে। তার কথা অনুযায়ী, সবচেয়ে নিকটবর্তী সময় অর্থাৎ চলতি বছরের ডিসেম্বরকে মাথায় রেখে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে কমিশন। ইসি জানিয়েছে, সরকারপ্রধানের পরিকল্পনা অনুযায়ীই তারা ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে।