খেলাটা ফুটবল নয়, ক্রিকেট। তারপরও ধাক্কাধাক্কি হলো পাকিস্তানি পেসার শাহিন শাহ আফ্রিদি ও দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার ম্যাথু ব্রিটজের। করাচিতে ত্রিদেশীয় সিরিজের ম্যাচটিতে আফ্রিদির একটি বল ডিফেন্স করে ব্যাট চালানোর ভঙ্গি করেন ব্রিটজকে। এটা ভালোভাবে নেননি আফ্রিদি।
এখানেই শেষ হয়নি। একই ওভারের শেষ বলে দৌড়ে এক রান নিতে যান ব্রিটজকে। আফ্রিদি হঠাৎ করে তার সামনে এলে ধাক্কা লাগে দুজনের। দু’জনে একে অপরের মুখোমুখি অবস্থান নিলে এগিয়ে আসেন আম্পায়ার। এছাড়া প্রোটিয়া অধিনায়ক টেম্বা বাভুমা রান আউট হলে তার দিকে তেড়ে গিয়েছিলেন সৌদ শাকিল, কামরান গুলাম ও বাবর আজম!
উত্তেজনার ম্যাচ শেষে ম্যাথু ব্রিটজকে দেখা করে আফ্রিদির সঙ্গে। ঝামেলা মিটিয়ে তারা বন্ধু হয়ে গেছেন বলে দাবিও করেছেন ব্রিটজকে, ‘‘ম্যাচ শেষে আমরা দেখা করেছি। এখন আমরা দুজন বন্ধু।’’
করাচির ম্যাচটিতে হয়েছে রান উৎসবও। শুরুতে ব্যাট করে দক্ষিণ আফ্রিকা পায় ৫ উইকেটে ৩৫২ রানের পুঁজি। এই রান পাহাড় পাকিস্তান টপকে গেছে ৬ বল ৬ উইকেট হাতে রেখে দিয়ে। এই জয়ে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফাইনাল খেলবে পাকিস্তান।
ওয়ানডেতে রান তাড়ায় এটি পাকিস্তানের সবচেয়ে বড় জয়। সালমান আলী আগা ১৩৪ ও মোহাম্মদ রিজওয়ান খেলেন ১২২* রানের ইনিংস। দুজন চতুর্থ উইকেটে গড়েন ২৬০ রানের জুটি, যা পাকিস্তানের হয়ে চতুর্থ উইকেটে পাকিস্তানের সেরা।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
দক্ষিণ আফ্রিকা: ৫০ ওভারে ৩৫২/৫ (ক্লাসেন ৮৭, ব্রিটজকে ৮৩, বাভুমা ৮২; আফ্রিদি ২/৬৬)।
পাকিস্তান: ৪৯ ওভারে ৩৫৫/৪ (সালমান ১৩৪, রিজওয়ান ১২২*, ফখর ৪১; মুল্ডার ২/৭৯)।
ফল: পাকিস্তান ৬ উইকেটে জয়ী।
ম্যান অব দ্য ম্যাচ: সালমান আলী।