Beta
রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
রবিবার, ১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

মোদী-ট্রাম্পের নতুন উদ্যোগ ‘ইউএস-ইন্ডিয়া কমপ্যাক্ট’

হোয়াইট হাউসে বৃহস্পতিবার বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদী।
হোয়াইট হাউসে বৃহস্পতিবার বৈঠকের পর যৌথ সংবাদ সম্মেলনে ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদী।
[publishpress_authors_box]

যুক্তরাষ্ট্র-ভারত দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কেব ঘনিষ্ঠতাকে নতুন রূপ দিতে নতুন একটি উদ্যোগ নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদী, যাকে বলা হচ্ছে- ‘ইউএস-ইন্ডিয়া কমপ্যাক্ট’।

বৃহস্পতিবার হোয়াইট হাউসে দুই রাষ্ট্রনেতার বৈঠকের পর যৌথ ঘোষণায় নতুন এই উদ্যোগের কথা উঠে এসেছে।

এর মধ্য দিয়ে সামরিক খাতে যুক্তরাষ্ট্র ও ভারত অংশীদারি বাড়ানোর পাশাপাশি বাণিজ্য ও প্রযুক্তি খাতে সহযোগিতা জোরদার করবে।

ট্রাম্পের সঙ্গে মোদীর ঘনিষ্ঠতার বিষয় বরাবরই বৈশ্বিক রাজনৈতিক অঙ্গনে ছিল আলোচিত। গত ২০ জানুয়ারি ট্রাম্প প্রেসিডেন্টের চেয়ারে ফেরার র চতুর্থ রাষ্ট্রনেতা হিসাবে মোদীকে সফরের আমন্ত্রণ জানান।

বৃহস্পতিবার হোয়াউট হাউসে বিশ্বের সর্ববৃহৎ গণতান্ত্রিক দেশটির সরকার প্রধানের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপ্রধানের বৈঠক হয়। তারপরই আসে যৌথ ঘোষণা।

সেখানেই বলা হয়, দুই নেতা একবিংশ শতকের জন্য নতুন উদ্যোগ ‘ইউএস-ইন্ডিয়া কমপ্যাক্ট’র সূচনা করেছেন। এর মধ্যদিয়ে তাদের দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক নতুন মাত্রায় উন্নীত হবে।

সামরিক ক্ষেত্রে অংশীদারত্ব বাড়ানোর অংশ হিসাবে দুই নেতা জানিয়েছেন, তারা ১০ বছরের জন্য নতুন একটি কাঠামো চুক্তিতে সই করবেন।

যুক্তরাষ্ট্র থেকে যে সমর সরঞ্জাম কিনছে ভারত, তা যথাসময়ে যাতে সরবরাহ হয়, সে বিষয়ে দুই নেতাই জোর দিয়েছেন। এর মধ্যে সামরিক উড়োজাহাজ সুপার হারকিউলিস, বোয়িং গ্লোবমাস্টার-৩, পসাইডন, হেলিকপ্টার চিনুক, সিহক, অ্যাপাচি রয়েছে। এছাড়া রয়েছে জাহাজ বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র।

সামরিক খাতে লেনদেন আরও বাড়াতে সম্মত হয়েছেন ট্রাম্প ও মোদী। সেই সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সহযোগিতায় ভারতে সমরাস্ত্র তৈরির বিষয়েও তারা একমত হয়েছেন।

ওয়াশিংটন সফরে বৃহস্পতিবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠক করেন নরেন্দ্র মোদী।

ভারতের প্রতিরক্ষা বাহিনীর শক্তি বাড়াতে এই বছরই নতুন করে ট্যাংক বিধ্বংসী ক্ষেপণাস্ত্র এবং পদাতিক বাহিনীর জন্য গাড়ি কেনার বিষয়টিও এসেছে যৌথ বিবৃতিতে। ভারত মহাসাগরে নজরদারি বাড়াতে যুক্তরাষ্ট্র থেকে ছয়টি উড়োজাহাজও কিনবে ভারত।

কৌশলগত জোট কোয়াডের সদস্য হিসাবে ভারতকে যুক্তরাষ্ট্রের গুরুত্ব দেওয়ার কথাও এসেছে যৌথ ঘোষণায়। দুই নেতাই সামরিক ক্ষেত্রে প্রযুক্তি বিনিময়ে একমত হয়েছেন।

মোদী-ট্রাম্প দুজনই ভূমি, সাগর, আকাশসহ সাইবার ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়াতে একমত হয়েছেন।

এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে সেনা মোতায়েনের ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা, গোয়েন্দা তথ্য বিনিময়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছেন দুজন। এই অঞ্চলে স্থিতিশীলতা রক্ষায় দুই পক্ষ একযোগে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে।

সন্ত্রাসবাদ দমনে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছেন মোদী-ট্রাম্প দুজনই। তারা বলেছেন, সন্ত্রাসীদের আস্তানা বিশ্বের যেখানেই থাকুক না কেন, তা গুঁড়িয়ে দিতে হবে।

আল কায়দা, আইএস, জইশ-ই মোহাম্মদ, লস্কর-ই তৈয়বার মতো সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে একসঙ্গে লড়াই করার কথা বলেছেন ট্রাম্প। সেই সঙ্গে সন্ত্রাসীদের বিচারের আওতায় আনতে পাকিস্তানের প্রতি আহ্বানও জানিয়েছেন ট্রাম্প ও মোদী।

দুজনেই ইসলামাবাদকে হুঁশিয়ার করে বলেছেন, পাকিস্তানের মাটি যেন অন্য দেশে সন্ত্রাসী হামলার জন্য ব্যবহার না হয়।

যুক্তরাষ্ট্র-ভারতের দুই নেতার যৌথ ঘোষণায় পাকিস্তানকে টেনে আনার প্রতিক্রিয়া এসেছে ইসলামাবাদ থেকে।

পাকিস্তানের দৈনিক ডন জানায়, শুক্রবার নিয়মিত সংবাদ সম্মেলনে এনিয়ে অসন্তোষ প্রকাশ করেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র শাফকাত আলি খান।

তিনি বলেন, ওয়াশিংটন-দিল্লি যৌথ ঘোষণায় পাকিস্তানের নামের উল্লেখ দেখে তিনি বিস্মিত। একতরফা এই বিবৃতি বিভ্রান্তিকর এবং কূটনৈতিক শিষ্টাচারের লঙ্ঘন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত