ধ্বংসস্তূপে দাঁড়িয়ে দুর্দান্ত ইনিংস খেলেছেন তাওহিদ হৃদয়। তার বীরোচিত সেঞ্চুরির সঙ্গে জাকের আলীর চমৎকার ব্যাটিংয়ে লড়াই করার মতো স্কোর পায় বাংলাদেশ। যদিও লক্ষ্যটা খুব একটা কঠিন ছিল না। এর ওপর ব্যাটিংয়ে ভালো শুরু পাওয়ায় চালকের আসনে বসে পড়ে ভারত। তবে একটা সময় ৪ উইকেট হারিয়ে ফেলায় চাপ তৈরি হয়েছিল ভারতের ওপর। সেসময় ড্রেসিংরুম থেকে শুবমান গিলকে বার্তা পাঠাতে বাধ্য হয়েছিল দলটি।
নড়বড়ে শুরুর পর রোহিত শর্মা ৩৬ বলে ৪১ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলে মাঠ ছাড়েন। অন্যদিকে গিল শুরু থেকেই খেলেছেন দেখেশুনে। অন্যপ্রান্তে উইকেট পড়লেও নিজে ক্রিজে পড়ে ছিলেন এই ব্যাটার। বিরাট কোহলি, শ্রেয়াস আইয়ার ও অক্ষর প্যাটেল বিদায় নেওয়ার পর ১৪৪ রানে ৪ উইকেট হারায় ভারত। ওই সময় দলটি যে সত্যি চাপে পড়েছিল, সেটা গিলের কথায় স্পষ্ট। ড্রেসিংরুমেও উৎকণ্ঠা বাড়ে। সেকারণে তার কাছে বার্তা এসেছিল বলে জানিয়েছেন ম্যাচের পর।
গিল বলেছেন, “একটা সময় আমাদের ওপর চাপ বেড়ে গিয়েছিল। তখন ড্রেসিংরুম থেকে বার্তা পাঠানো হয় আমাকে। বলা হয়েছিল, আমাকে শেষ পর্যন্ত ব্যাট করতে হবে। আমি সেটাই করেছি।”
গিলের শুরুটা একটু ধীরগতির হয়। তবে সময় গড়ানোর সঙ্গে বিধ্বংসী হয়ে ওঠে তার ব্যাট। তবে বাংলাদেশের বিপক্ষে গোটা ইনিংসেই দেখেশুনে খেলেছেন তিনি। নিজের স্বাভাবিক খেলা থেকে বেরিয়ে এসে বড় শট খেলেছেন কম। ১২৬ বলে পূরণ করেন সেঞ্চুরি। ২০১৯ সালের পর আইসিসির কোনও প্রতিযোগিতায় ভারতীয় ব্যাটারের করা সবচেয়ে মন্থর সেঞ্চুরির ঘটনা এটি।
যদিও গিলের কাছে এটা তার ‘ক্যারিয়ারে অন্যতম সেরা ইনিংস’। কারণ, “আইসিসি কোনও প্রতিযোগিতায় এই প্রথম সেঞ্চুরি করলাম। নিজের খেলায় আমি খুব খুশি।”