বাংলাদেশের প্রখ্যাত গাইনি চিকিৎসক তৌহিদুল আনোয়ার চৌধুরী (টি এ চৌধুরী) মারা গেছেন।
রবিবার দুপুরে ঢাকায় নিজ বাসায় ৮৭ বছর বয়সী এই চিকিৎসকের মৃত্যু হয়।
এতথ্য নিশ্চিত করে বাংলাদেশ ডায়াবেটিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি এবং জাতীয় অধ্যাপক ডা. এ কে আজাদ খান সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “তার কার্ডিয়াক অ্যারেস্ট হয়। বয়সটাও একটা ফ্যাক্টর।”
স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিদ্যার প্রথিতযশা চিকিৎসক টি এ চৌধুরী তার কাজের স্বীকৃতিস্বরূপ ২০১৭ সালে স্বাধীনতা পুরস্কার পান।
১৯৩৭ সালের ১০ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন টি এ চৌধুরী নামে পরিচিত এ এইচ এম তৌহিদুল চৌধুরী। তিনি ১৯৬০ সালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন। এরপর লাহোরের কিং এডওয়ার্ড কলেজে ভর্তি হন।
প্রথম বর্ষ পড়ার পর সরকারি বৃত্তি নিয়ে ইংল্যান্ডের রয়েল কলেজ অব সার্জনস অব এডিনবরায় যান এবং সেখান থেকে এফআরসিএস সম্পন্ন করেন। এরপর ১৯৬৫ সালে রয়েল কলেজ অব অবসটেট্রিশিয়ান অ্যান্ড গাইনোকোলজিস্ট থেকে এমআরসিওজি পাস করে দেশে ফেরেন তিনি।
টি এ চৌধুরীর কর্মজীবন শুরু হয় স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজে। সেখানে ছয় বছর চাকরির পর বদলি হন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে।
৮০ এর দশকে তিনি বর্তমান বিএসএমএমইউ অর্থাৎ তৎকালীন ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্রাজুয়েট মেডিসিন অ্যান্ড রিসার্চে যোগ দেন এবং ১৯৮৭ সালে এর পরিচালক হিসাবে নিয়োগ পান। এরপর ১৯৯৪ সালে সরকারি চাকরি থেকে অবসর গ্রহণ করেন।
বারডেম হাসপাতালে স্ত্রীরোগ ও প্রসূতিবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ও অনারারি চিফ কনসালটেন্ট হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছিলেন। অবস অ্যান্ড গাইনোকোলজি সোসাইটি অব বাংলাদেশের প্রতিষ্ঠাতা মহাসচিব ও পরবর্তীতে সভাপতির দায়িত্বে ছিলেন তিনি। এছাড়া তিনি এশিয়া অ্যান্ড ওশেনিয়া ফেডারেশন অব অবস অ্যান্ড গাইনোকোলজির ভাইস প্রেসিডেন্ট এবং ‘সাউথ এশিয়া ফেডারেশন অব অবস অ্যান্ড গাইনোকোলজি’র প্রেসিডেন্ট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেছেন।
অধ্যাপক টিএ চৌধুরী ১৯৯১-১৯৯৩ সালে দুই বছর মেয়াদে বাংলাদেশ কলেজ অব ফিজিশিয়ানস অ্যান্ড সার্জনসের (বিসিপিএস) সভাপতি ছিলেন।
চিকিৎসাবিদ্যায় অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ২০১৭ সালে স্বাধীনতা পদকে ভূষিত হন টি এ চৌধুরী।