Beta
মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫
Beta
মঙ্গলবার, ১১ মার্চ, ২০২৫

মাগুরার শিশুটি এখনও লাইফ সাপোর্টে

ss-cmh-main-gate-10032025
[publishpress_authors_box]

মাগুরায় ধর্ষণের শিকার আট বছর বয়সী শিশুটি এখনও লাইফ সাপোর্টে রয়েছে।

এ মুহূর্তে সে ঢাকার সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) চিকিৎসাধীন। সেখানেই পেডিয়াট্রিক আইসিইউতে ভর্তি রয়েছে সে।

সোমবার সন্ধ্যায় আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

এর আগে গত শনিবার সন্ধ্যায় সংকটাপন্ন অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের লাইফ সাপোর্ট থেকে শিশুটিকে সিএমএইচের পেটিয়াট্রিক আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। সেসময় সে পুরোপুরি অচেতন চিল।

শিশুটির গলার সামনের দিকে গভীর ক্ষত এবং শরীরের অন্যান্য স্পর্শকাতর স্থানে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে জানিয়ে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রোগীর যথাযথ অবস্থা নিরুপন করে সঠিক চিকিৎসা দিতে উচ্চ পর্যায়ের একটি মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়। যেখানে রয়েছেন ঢাকা সিএমএইটের কমান্ড্যান্ট, চিফ সার্জন জেনারেল, শিশু বিভাগের উপদেষ্টা ও বিভাগীয় প্রধান, স্ত্রী ও ধাত্রীবিদ্যা বিভাগের প্রধান ও উপদেষ্টা, প্লাস্টিক সার্জারি বিভাগের প্রধান ও উপদেষ্টা, শিশু সার্জারি বিভাগের প্রধান ও উপদেষ্টা, জ্যেষ্ঠ অবেদন বিদ্যা বিশেষজ্ঞ এবং জ্যেষ্ঠ শিশু নিউরোলজিস্ট।

বোর্ডের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী তার শরীরের বিভিন্ন অংশের সিটি স্ক্যান, আল্টাসনোগ্রাম, এক্সরে এবং রক্তের প্রয়োজনীয় পরীক্ষাসহ বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয়। পরীক্ষায় শিশুটির নিউমোথোরাক্স, অ্যাকিউট রেসপিরেটরি ডিসট্রেস সিনড্রোম এবং ডিফিউজ সেরিব্রাল এডিমো ধরা পড়ে।

সিএমএইচে এসব রোগের প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু হয়েছে। প্রতিদিন স্ট্যান্ডার্ড আইসিইউ প্রটোকল অনুযায়ী প্রয়োজনীয় পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হচ্ছে এই সে অনুযায়ী লাইফ সাপোর্টে থাকা শিশুটিকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে বলেও জানিয়েছে আইএসপিআর।

ঘটনা সম্পর্কে যা জানা গেছে

বিবিসি বাংলা জানিয়েছে, মাগুরার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিরাজুল ইসলাম জানিয়েছেন, ঘটনার পর শিশুটির পরিবারের সদস্যদের অভিযোগের ভিত্তিতে যে চারজনকে আটক করা হয়েছে তার মধ্যে শিশুটির বোনের স্বামী ও শ্বশুরও রয়েছে।

পুলিশ ও পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, কয়েকদিন আগে শিশুটি মাগুরা শহরে তার বোনের শ্বশুর বাড়িতে বোনের কাছে গিয়েছিল বেড়ানোর জন্য।

বৃহস্পতিবার বেলা ১১টার কিছুক্ষণ পর শিশুকে অচেতন অবস্থায় মাগুরা আড়াইশ শয্যা হাসপাতালে নিয়ে আসেন এক নারী। পরে জানা যায় ওই নারী তার বোনের শাশুড়ি। এরপর খবর পেয়ে শিশুটির মাও হাসপাতালে যান।

হাসপাতালে চিকিৎসরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে শিশুটির গলায় দাগ ও শরীরে বেশ কিছু জায়গায় আঁচড় দেখতে পান। চিকিৎসকের উদ্ধৃতি দিয়ে পুলিশ জানায়, শিশুটির যৌনাঙ্গে রক্তক্ষরণ হয়েছে।

অবস্থা ভালো নয় দেখে তখনই মাগুরা হাসপাতালের ডাক্তারদের পরামর্শে শিশুটিকে নেওয়া হয় ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে থেকে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় তাকে আনা হয় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।

এর মধ্যেই ঘটনাটি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে এবং শিশুটির নিপীড়নের অভিযোগ করে এর সঙ্গে জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন বহু মানুষ।

ঘটনার প্রতিবাদে ও দায়ী ব্যক্তিদের শাস্তির দাবিতে শুক্রবার মাগুরা সদরে মহাসড়ক অবরোধ ও থানা ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেন স্থানীয়রা। থানার মূল ফটক ঘেরাও করে অভিযুক্ত ব্যক্তিদের তাদের হাতে তুলে দেওয়ার দাবি তোলেন।

এর আগে জুমার নামাজ শেষে শহরের চৌরঙ্গীর মোড়ে জমায়েত হয়ে শিশু নির্যাতনের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিচারের দাবিতে মিছিল বের হয়। এক পর্যায়ে তারা শহরের ভায়না চত্বর বা মোড়ে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ শুরু করে। পরে বিকেল ৩টার দিকে থানার গেইটে গিয়ে বিক্ষোভ করেন তারা। পরে সেনাসদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত