অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশিরউদ্দীনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন প্রগতির জন্য জ্ঞান (প্রজ্ঞা) এবং অ্যান্টি টোব্যাকো মিডিয়া এলায়েন্সের (আত্মা) একটি প্রতিনিধি দল।
সোমবার সচিবালয়ে বাণিজ্য উপদেষ্টার কার্যালয়ে যায় প্রতিনিধি দলটি।
সংগঠন দুইটির পক্ষ থেকে বাণিজ্য উপদেষ্টাকে জানানো হয়, পরোক্ষ ধূমপানের স্বাস্থ্যক্ষতি থেকে অধূমপায়ীদের সুরক্ষা দিতে আইন সংশোধন করে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ বিলুপ্ত করার উদ্যোগ নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়। স্মোকিং জোন থাকলে শতভাগ ধূমপানমুক্ত পরিবেশ বজায় থাকে না। বিশেষ করে হোটেল এবং রেস্তোরাঁয় স্মোকিং জোনে প্রবেশ বা বের হওয়ার সময় সিগারেটের ধোঁয়া পুরো রেস্তোরাঁয় ছড়িয়ে পড়ে এবং সেখানে আসা নারী, শিশুসহ সবাই পরোক্ষ ধূমপানের ক্ষতির শিকার হয়। একইসঙ্গে সেবা কর্মীরাও সেবা দিতে গিয়ে পরোক্ষ ধূমপানের শিকার হয়।
বাসস জানিয়েছে, প্রজ্ঞা এবং আত্মার পক্ষ থেকে জানানো হয়, দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশে তামাক ব্যবহারের হার সবচেয়ে বেশি, ৩৫ দশমিক ৩ শতাংশ। যা ভারতে ২৮ দশমিক ৬ শতাংশ এবং পাকিস্তানে ১৯ দশমিক ১ শতাংশ।
তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যু এবং অসুস্থতা এসডিজির ৩য় লক্ষ্যমাত্রা- সুস্বাস্থ্য অর্জনের একটি বড় বাধা। তামাক ব্যবহারের কারণে বছরে ১ লাখ ৬১ হাজার মানুষ বিভিন্ন রোগে মারা যায়। তামাক খাত থেকে অর্জিত রাজস্ব আয়ের চেয়ে তামাক ব্যবহারজনিত মৃত্যু ও অসুস্থতায় যে আর্থিক ক্ষতি হয় তার পরিমাণ অনেক বেশি।
বৈঠকে আত্মার আহ্বায়ক মতুর্জা হায়দার লিটন এবং সহ-আহ্বায়ক নাদিরা কিরণ, বাংলা ট্রিবিউনের বিজনেস ইনচার্জ শফিকুল ইসলাম, প্রজ্ঞার নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের এবং কর্মসূচি প্রধান মো. হাসান শাহরিয়ার উপস্থিত ছিলেন।