বাংলাদেশি নাগরিকদের সব ধরনের ভিসা দেয়া স্থগিত করেছে ওমান। গত বছর ৩১শে অক্টোবর থেকে এই নিয়ম চালু করেছে দেশটি। আর এই নতুন নিয়মের গ্যাড়াকলে পড়ে ওমানে এশিয়ান ট্যুর গলফে অংশ নেওয়া হুমকির মুখে পড়েছে সিদ্দিকুর রহমানের।
দেশসেরা গলফার বর্তমানে খেলছেন মালয়েশিয়ার আইআরএস প্রিমা মালয়েশিয়ান ওপেন টুর্নামেন্টে। এই প্রতিযোগিতা শেষ হলে ওমানে ২২ ফেব্রুয়ারি শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল সিরিজ ওমান। যে টুর্নামেন্টের প্রাইজমানি বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ২২ কোটি। কিন্তু এই টুর্নামেন্টে অংশ নেওয়ার জন্য ওমানের ভিসা পাচ্ছেন না সিদ্দিকুর।
মালয়েশিয়া থেকে সিদ্দিকুর শুক্রবার সকাল সন্ধ্যাকে জানিয়েছেন, “ওমানের টুর্নামেন্ট আমি গত বছর খেলেছি। সেবার ভিসা পেয়েছিলাম। কিন্তু এবার ভিসা পেতে একটু সমস্যা হচ্ছে। এবার নাকি বাংলাদেশিদের কোনও ভিসা দিচ্ছে না। আমি অনলাইনে ভিসার আবেদনই করতে পারছিনা। এশিয়ান ট্যুর কর্তৃপক্ষও চেষ্টা করছে। কিন্তু ওরাও কোনওভাবে পারেনি।”
বারবার তাকে ওমান ভিসা সেন্টার থেকে প্রত্যাখ্যাত করা হচ্ছে বলে জানালেন, “ওরা আমাকে গতকাল জানিয়েছে এশিয়ান ট্যুর থেকে আর কিছু করা সম্ভব না।”
এরই মধ্যে ওমানে নিজের ও ক্যাডির জন্য হোটেল বুকিং দিয়েছেন সিদ্দিকুর। বিমান টিকিটও কাটা হয়েছে। এজন্য ৪ হাজার ইউএস ডলার (প্রায় সাড়ে ৪ লাখ টাকা) খরচ হয়েছে তার।
সবচেয়ে বড় কথা আকর্ষণীয় এই টুর্নামেন্টে খেলা নিয়ে সংশয়ে আছেন সিদ্দিকুর, “এটা একটা বড় মাপের টুর্নামেন্ট। এখানে শেষ পর্যন্ত খেলা হবে কিনা বুঝতে পারছি না। ভীষণ দুশ্চিন্তায় আছি।”
যে কারণে ওমানের ভিসা দেওয়া হচ্ছে না সিদ্দিকুরকে
ওমানের জনসংখ্যা ৫০ লাখের মতো। গত নভেম্বরে যখন এই নিয়ম চালু করা হয় তখন বাংলাদেশের দূতাবাস থেকে বলা হয়েছিল ওমানে ২০ লাখের মতো প্রবাসী শ্রমিক রয়েছে, যার মধ্যে বাংলাদেশি শ্রমিকদের সংখ্যা সাত লাখের উপরে। নতুন করে আরও বাংলাদেশি শ্রমিক ওমানে ঢুকলে তাদের শ্রম বাজার ছোট হয়ে আসতে পারে। এই শঙ্কায় মূলত আর কোনও বাংলাদেশি শ্রমিকদের আপাতত ওমানের ভিসা না দেওয়ার সিদ্ধান্ত সে দেশের সরকারের। আর এই নিয়মের মারপ্যাচে পড়েই সিদ্দিকুরের সেখানে খেলা অনিশ্চিত।