অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত ঠিকাদার গোলাম কিবরিয়া শামীম ওরফে জি কে শামীমকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল রেখেছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ পাঁচ বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
তবে আরেক মামলায় সাজাপ্রাপ্ত হওয়ায় এবং কয়েকটি মামলায় গ্রেপ্তার থাকায় অস্ত্র মামলায় জামিন পেলেও কারাগার থেকে তিনি এখনই মুক্তি পাচ্ছেন না বলে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন তার আইনজীবী।
আদালতে জি কে শামীমের পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ফিদা এম কামাল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী।
আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সুজিত চ্যাটার্জি বাপ্পী বলেন, “হাইকোর্টের আদেশের বিরুদ্ধে আমাদের করা আবেদনটি আপিল বিভাগ আজ ডিসমিস (খারিজ) করে দিয়েছেন। ফলে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন বহাল থাকল।”
শামীমকে গত ১৩ ডিসেম্বর বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিন ও বিচারপতি মো.মাহমুদ হাসান তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চ জামিন দেয়। পরে হাইকোর্টের জামিনাদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ১৯ ডিসেম্বর হাইকোর্টের আদেশ স্থগিত করে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত।
এরপর রাষ্ট্রপক্ষ নিয়মিত লিভ টু আপিল করেন, যা বৃহস্পতিবার খারিজ করেছে সর্বোচ্চ আদালত।
মামলা থেকে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২০ সেপ্টেম্বর ঢাকার গুলশানের নিকেতনে শামীমের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে অভিযান চালায় র্যাব। অভিযান শেষে ওই ভবন থেকে নগদ প্রায় পৌনে দুই কোটি টাকা, ১৬৫ কোটি টাকার এফডিআর, আগ্নেয়াস্ত্র ও মদ উদ্ধারের কথা জানানো হয় র্যাবের পক্ষ থেকে। ওই অভিযানের সময় গ্রেপ্তার করা হয় জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে। এরপর তাদের বিরুদ্ধে কয়েকটি মামলা করা হয়। এর মধ্যে দুই মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে।
২০২২ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর জি কে শামীম ও তার সাত দেহরক্ষীকে অস্ত্র মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন ঢাকার তৃতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ শেখ ছামিদুল ইসলাম।
সাজা পাওয়া তার সাত দেহরক্ষী হলেন— মো. জাহিদুল ইসলাম, মো. শহিদুল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন, মো. সামসাদ হোসেন, মো. আমিনুল ইসলাম, মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. মুরাদ হোসেন।
এছাড়া অর্থপাচারের মামলায়ও জিকে শামীমকে ১০ বছরের কারাদণ্ড দেয় আদালত।