অবশেষে থামল শ্রীলঙ্কা। চট্টগ্রাম টেস্টে ধনঞ্জয়া ডি সিলভার দল অলআউট হল ৫৩১ রানে। রানের পাহাড় গড়লেও সেঞ্চুরি পাননি কোন লঙ্কান, যা টেস্ট ইতিহাসেই সেঞ্চুরি ছাড়া সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড।
১৯৭৬ সালের নভেম্বরে কানপুর টেস্টে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ভারত ৯ উইকেটে ৫২৪ রান ইনিংস ঘোষণা করেছিল। সেঞ্চুরি পাননি কেউ। সর্বোচ্চ ৭০ রান করেছিলেন মহিন্দর অমরনাথ। ফিফটি করেছিলেন ৫ জন।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ফিফটি করেছেন ৬ লঙ্কান ব্যাটার। সর্বোচ্চ ৯৩ করেছেন কুশল মেন্ডিস। কামিন্দু মেন্ডিস অপরাজিত ছিলেন ৯২ রানে।
এক বছর পর ফিরে সাকিব আল হাসানই সবচেয়ে সফল বোলার বাংলাদেশের। তিনি নিয়েছেন ৩ উইকেট। ২ উইকেট হাসান মাহমুদের। ১টি করে উইকেট খালেদ আহমেদ ও মেহেদী হাসান মিরাজের। এছাড়া তিন লঙ্কান হয়েছেন রান আউট।
জবাবে বাংলাদেশ দ্বিতীয় দিন শেষ করেছে ১ উইকেটে ৫৫ রানে। দিনের শেষ বেলায় লাহিরু কুমারার বলে বোল্ড হন ২১ রান করা মাহমুদুল হাসান জয়। জাকির হাসানের সঙ্গে ৪৭ রানের উদ্বোধনী জুটি গড়েছিলেন তিনি। জাকির ২৮ রান ও নাইটওয়াচম্যান তাইজুল ইসলাম অপরাজিত ০ রানে।
চা বিরতি পর্যন্ত ৭ উইকেটে ৪৭৬ রান করেছিল সফরকারীরা। উইকেটে অপরাজিত ছিলেন কামিন্দু মেন্ডিস ৫৭ ও বিশ্ব ফার্নান্ডো ০ রানে। মেন্ডিস শেষ পর্যন্ত সেঞ্চুরিটা পাননি সতীর্থরা সঙ্গ দিতে না পারায়।
টানা পাঁচ সেশন ফিল্ডিংয়ের ধকল সামলাতে হচ্ছে বাংলাদেশ ক্রিকেটারদের। প্রতি সেশনেই এক দুটো উইকেটের বেশি নিতে পারছেন না বোলাররা। তাতে লঙ্কানদের রান বাড়ছেই। সেই সঙ্গে আছে ক্যাচ মিসের মহড়া। পূর্ণ ও হাফ চান্স মিলিয়ে এই টেস্টে স্লিপের ফিল্ডাররা মোট ৫টি ক্যাচ ছেড়েছেন।
৬ রানে জীবন পেয়ে সাকিব আল হাসানের বলে এলবিডব্লিউ আউট হওয়ার আগে ২৮ রান করেন জয়াসুরিয়া। কামিন্দু মেন্ডিসের সঙ্গে ৬৫ রানের জুটি গড়েন। অথচ এ জুটিও শুরুতেই ভেঙে দিতে পারতো বাংলাদেশ।
সাকিবের এ উইকেট ছাড়া দ্বিতীয় সেশনের শুরুতে আরও একটি সেঞ্চুরির দিকে এগোতে থাকা ধনঞ্জয়া ডি সিলভাকে ফেরায় বাংলাদেশ। খালেদ আহমেদের বলে ১১১ বলে ৬ চার ও ২ ছক্কায় ৭০ রানে থামেন লঙ্কান অধিনায়ক।