যাত্রী কল্যাণ সমিতির আবেদন ছিল, একটি মন্ত্রিসভা কমিটিও দিয়েছিল সুপারিশ, তবে রোজার ঈদে ছুটি বাড়ল না।
সোমবার মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর জ্যেষ্ঠ মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন ঈদের ছুটি বাড়ানোর প্রস্তাব নাকচ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এবার নির্ধারিত ছুটিই বেশি হয়ে গেছে বলে মন্ত্রিসভা মনে করছে।
এবার রোজা ৩০টি হলে ১১ এপ্রিল ঈদ হতে পারে। সরকারি ক্যালেন্ডারে ঈদের ছুটি ধরা হয়েছে ১০, ১১ ও ১২ এপ্রিল। ঈদের আগে ৭ এপ্রিল থাকছে শবে কদরের ছুটি। তার আগে দুদিন সাপ্তাহিক ছুটি।
আবার ঈদের ছুটির পরে ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি থাকছে। তার পরদিন ১৪ এপ্রিল আবার পহেলা বৈশাখের ছুটি।
সব মিলিয়ে ঈদের ছুটির আগে ৮ ও ৯ এপ্রিল শুধু অফিস-আদালত খোলা থাকছে। যাত্রী কল্যাণ সমিতি ওই দুই দিন ছুটি ঘোষণার দাবি তুলে বলেছিল, তাহলে ঈদে বাড়িমুখী মানুষের দুর্ভোগ কমবে। সড়ক দুর্ঘটনার হারও কমে আসবে।
এরপর আইন শৃঙ্খলা সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটিও ৯ এপ্রিল ছুটি ঘোষণার সুপারিশ জানায়, যে কমিটির সভাপতি মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী মোজাম্মেল হক।
সোমবারের সভা শেষে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, তাতের সুপারিশ মন্ত্রিসভা গ্রহণ করেনি।
“মন্ত্রিসভা মনে করে, এমনিতেই এবার বেশ অনেক দিন ছুটি পাওয়া যাচ্ছে। এর মধ্যে ৯ এপ্রিল ছুটি দেওয়া হলে ছুটির মেয়াদ দীর্ঘ হয়ে যাবে। এতে কাজে স্থবিরতা নামতে পারে,” বলেন তিনি।
তবে যারা ঈদে বাড়ি যাবেন, তাদের অর্জিত ছুটি কিংবা নৈমত্তিক ছুটি নেওয়ার সুযোগ যে রয়েছে, তা মনে করিয়ে দেন তিনি।