Beta
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ১০ জানুয়ারি, ২০২৫

আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে রোসাটমকে প্রধানমন্ত্রীর আহ্বান

প্রধানমন্ত্রী
মঙ্গলবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ। ছবি : পিআইডি
[publishpress_authors_box]

রূপপুরে আরেকটি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়টি বিবেচনা করতে রাশিয়ার রাষ্ট্রীয় পরমাণু শক্তি করপোরেশন রোসাটমের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

মঙ্গলবার গণভবনে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন রোসাটমের মহাপরিচালক আলেক্সি লিখাচেভ। এই বৈঠকেই সুযোগ হলে আরেকটি বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের বিষয়টি বলেন প্রধানমন্ত্রী।

বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিং করেন প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার মো. নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, “শেখ হাসিনা চলমান প্রকল্পের কাজ শেষ করার পর রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের (আরএনপিপি) জায়গায় নতুন আরেকটি প্ল্যান্ট নির্মাণের আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি এটাও বলেছেন যে, দুটি নতুন ইউনিট স্থাপনের জন্য প্রাথমিক পর্যায়ে প্রযুক্তিগত জরিপ করা দরকার।”

প্রধানমন্ত্রী রাশিয়ান ফেডারেশনে আরএনপিপির প্রথম এবং দ্বিতীয় ইউনিটের ‘স্পেন্ট নিউক্লিয়ার ফুয়েল’ ফিরিয়ে নেওয়ার আনুষ্ঠানিকতা শেষ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন।

জবাবে রোসাটম মহাপরিচালক রাশিয়ার সরকারের পক্ষ থেকে আরএনপিপি’র প্রথম এবং দ্বিতীয় ইউনিটের ব্যয় করা পারমাণবিক জ্বালানি ফেরত নেওয়ার আশ্বাস দেন। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুযায়ী যথাসময়ে সব আনুষ্ঠানিকতা শেষ করার প্রতিশ্রুতিও দেন।

এরই মধ্যে বাংলাদেশ সরকার এবং রাশিয়ান ফেডারেশন সরকার আরএনপিপির ব্যয়িত পারমাণবিক জ্বালানি ফেরত দেওয়ার বিষয়ে একটি আন্তঃরাষ্ট্রীয় চুক্তি সই করেছে।

শেখ হাসিনা জ্বালানি নিরাপত্তা বিশেষ করে বাংলাদেশে এই পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনের জন্য রাশিয়াকে ধন্যবাদ দেন। ভ্লাদিমির পুতিন আরও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় তাকে শুভেচ্ছাও জানান।

আলেক্সি লিখাচেভ প্রধানমন্ত্রীকে আরএনপিপির অগ্রগতি সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জানান।

তিনি বলেন, “২০২৫ সালের মধ্যে আরএনপিপি উৎপাদনে আসবে এবং জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ যোগ করতে সক্ষম হবে। আরএনপিপির ৮৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে।”

রোসাটম মহাপরিচালক আরএনপিপি এলাকায় দুটি নতুন পারমাণবিক বিদ্যুৎ ইউনিট (ইউনিট-৩ ও ইউনিট-৪) নির্মাণের প্রস্তাবও দেন। তিনি জানান, প্রথম দুটি ইউনিটের নির্মাণকাজ শেষ হলেই নতুন ইউনিট-৩ ও ইউনিট-৪-এর নির্মাণ কাজ শুরু করতে হবে।

উল্লেখ্য, আরএনপিপি এলাকায় ১২০০ মেগাওয়াট ক্ষমতা সম্পন্ন দুটি ইউনিটের (১২০০ x ২ = ২৪০০ মেগাওয়াট)  নির্মাণ কাজ চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।

প্রথম ইউনিটের ফিজিক্যাল স্টার্ট-আপ এই বছরের ডিসেম্বরে শুরু হবে, আর ইউনিট-১ এবং ইউনিট-২ থেকে বাণিজ্যিক বিদ্যুৎ উৎপাদন ২০২৫ এবং ২০২৬ সালে শুরু হবে।

এসময় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রী স্থপতি ইয়াফেস ওসমান, প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সচিব মো. আলী হোসেনসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত