একটি মামলায় হাজিরা দিয়ে আদালত থেকে বাড়ি ফেরার পথে নরসিংদীতে খুন হয়েছেন এক ইউপি সদস্য।
নিহত মো. রুবেল (৩৫) আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য ছিলেন। তিনি একই ইউনিয়নের ভূঁইয়ম গ্রামের মো. শাহজাহান মিয়ার ছেলে।
সোমবার দুপুরে নিজ ইউনিয়নের পাকুরিয়া গ্রামে তাকে গুলি করে ও পরে ছুরি দিয়ে গলা কেটে হত্যা করা হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে।
পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠায়। রাতে থানায় মামলাও হয়েছে।
স্থানীয়রা বলছেন, আড়াই বছর আগে প্রথমবার জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হওয়া রুবেল আওয়ামী লীগ সমর্থক ছিলেন। তবে দলের কোনও পদে ছিলেন না তিনি।
পুলিশ ও পাকুরিয়া গ্রামের কয়েকজন বাসিন্দা জানায়, দুপুর দেড়টার দিকে পাকুরিয়া বাজারের সামনে দিয়ে মোটরসাইকেলে করে রুবেল তার সহযোগী ইসমাইলকে নিয়ে যাচ্ছিলেন। বাজারে মসজিদের সামনে পৌঁছার পরপরই প্রাইভেট কার ও সিএনজি অটোরিকশা থেকে সাত থেকে আটজন নেমে মোটরসাইকেলটির গতিরোধ করে।
এরপর রুবেলের সঙ্গে তাদের কয়েকজন তর্কে জড়ায়। সেসময় পেছন থেকে একজন রুবেলকে গুলি করে। তিনি মাটিতে পড়ে গেলে সামনে থাকা কয়েকজন তার বুকে ছুরিকাঘাতসহ গলা কেটে হত্যা করে।
এসময় স্থানীয়রা এগিয়ে গেলে দুর্বৃত্তরা প্রাইভেট কার ও অটোরিকশা নিয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
খবর পেয়ে মাধবদী থানা পুলিশ গিয়ে রুবেলের লাশ উদ্ধার করে। গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল রুবেলের সহযোগী ইসমাইলকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে যায়।
নিহত রুবেলের শরীরে গুলিসহ একাধিক আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছেন নরসিংদীর পুলিশ সুপার মো. মোস্তাফিজুর রহমান।
তিনি সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, সকালে নরসিংদী আদালতে চলমান পুরনো একটি মামলার হাজিরা দিতে গিয়েছিলেন রুবেল। বাড়ি ফেরার পথে তাকে হত্যা করা হয়।
“এটি পরিকল্পিত বলে ধারণা করা হচ্ছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িত কয়েকজনের নাম, পরিচয় পুলিশের হাতে এসেছে। মাধবদী থানায় তার স্বজনরা হত্যা মামলা করেছে। হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের দ্রুতই গ্রেপ্তার করা হবে।”
রুবেল হত্যার বিচারের দাবি জানিয়ে আমদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ ইবনে রহিজ মিঠু বলেন, “প্রায় আড়াই বছর ধরে জনপ্রতিনিধি রুবেল। ইউপি নির্বাচনের সময় তার কয়েকজন প্রতিদ্বন্দ্বী ছিল। কারও সঙ্গে তার পূর্ববিরোধও থেকে থাকতে পারে। একজন জনপ্রতিনিধিকে এভাবে প্রকাশ্যে রাস্তায় গুলি করে কুপিয়ে হত্যার বিচার চাই আমরা।”