স্থানীয় সরকারের দ্বিতীয় ধাপের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৫৬ উপজেলায় প্রথম দুই ঘণ্টায় অঞ্চলভেদে ৭ থেকে ৮ শতাংশ ভোট পড়েছে।
মঙ্গলবার ঢাকার নির্বাচন ভবনে বেলা পৌনে ১১টার দিকে নির্বাচন কমিশনের অতিরিক্ত সচিব অশোক কুমার দেবনাথ সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
দেশের ৪৯৫ উপজেলায় চারধাপে ভোট শেষ করতে চায় ইসি। প্রথম ধাপে ১৩৯ উপজেলায় ৩৬ দশমিক ১ শতাংশ ভোট পড়ে। তৃতীয় ধাপে ১১১ উপজেলায় ভোট ২৯ মে। আর চতুর্থ ধাপে ৫৫ উপজেলায় ভোট হবে ৫ জুন।
১৫৬ উপজেলায় সকাল ৮টায় সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে জানিয়ে আশোক কুমার দেবনাথ বলেন, “এখন পর্যন্ত কোথাও কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। তবে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলায় এক আনসার সদস্য হার্ট অ্যাটাকে মারা গেছেন।”
একেক অঞ্চলে বিভিন্ন হারে ভোট পড়ছে উল্লেখ করে অশোক বলেন, “কোথাও বেশী কোথাও কম। তবে বেলা বাড়ার সঙ্গে এই হার আরও বাড়বে।”
তফসিল অনুযায়ী, দ্বিতীয় ধাপে দেশের ১৬১ উপজেলায় ভোট হওয়ার কথা ছিল। তবে তিন উপজেলায় নির্বাচন স্থগিত এবং দুই উপজেলায় তিন পদে বিনাভোটে নির্বাচিত হওয়ায় এই দফায় ভোট হচ্ছে ১৫৬ উপজেলায়।
সকাল ৮টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত একটানা চলবে ভোটগ্রহণ। ৯ জেলার ২৪ উপজেলায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনে (ইভিএম) ভোটগ্রহণ হবে। বাকি ১৩২ উপজেলায় ভোট হবে ব্যালটে।
ভোটে ৩ কোটি ৫২ লাখ ৪ হাজার ৭৪৮ ভোটার ১৩ হাজার ১১৬ টি কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাচ্ছেন। নির্বাচনে সাধারণ কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ১৭ জন সদস্য নিয়োজিত রয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্রে থাকছে ১৮ জন। পার্বত্য এলাকায় এই সংখ্যা ১৯, গুরুত্বপূর্ণ পার্বত্য এলাকায় ২০ জন।
মোট ৪৫৮ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে দ্বিতীয় ধাপের ভোটে। পুলিশ স্ট্রাইকিং ফোর্স মিলিয়ে ১ লাখ ৯৩ হাজার ২৮৭ জন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনীর সদস্য মোতায়েন রয়েছে।
সংসদ নির্বাচনের মতো স্থানীয় সরকারের এ নির্বাচনও বর্জন করছে বিএনপি। দলীয় সিদ্ধান্ত ভঙ্গ করে বিএনপির অনেকে ভোটে দাড়াঁনোয় তাদের দল থেকে বহিস্কারও করা হয়েছে।
বিএনপি না থাকলেও প্রত্যেক উপজেলায় স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়ছেন।
নির্বাচনে প্রভাব বিস্তার ঠেকাতে মন্ত্রী ও সংসদ সদস্যদের স্বজনদের প্রার্থী না হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে। তবে তা আমলে নেননি অনেকেই।
নির্বাচন কমিশন বলছে, ভোটের দিনের আবহাওয়া ও প্রার্থীর জনপ্রিয়তার ওপর ভোটের হার নির্ভর করবে। এই দফায়ও আগের মতোই শান্তিপূর্ণ ভোট হবে বলে প্রত্যাশা নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীরের।
২০১৯ সালের পঞ্চম উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে গড় ভোট পড়ে ৪১ শতাংশের বেশি। এর আগে ২০১৪ সালে চতুর্থ উপজেলা নির্বাচনে ভোট পড়ে ৬১ শতাংশ। আর তৃতীয় উপজেলা ভোটে ২০০৯ সালে ৬৭ দশমিক ৬৯ শতাংশ ভোট পড়েছিল।