বাজেট প্রস্তাবের আগে প্রতিবছরই আলোচনায় উঠে আসে রিকন্ডিশন্ড বা একবার ব্যবহৃত গাড়ি। বাড়তি শুল্কহার এড়াতে বাজেট পেশের আগেরদিন চট্টগ্রাম বা মোংলা বন্দর জলসীমায় জাহাজভর্তি গাড়ি পৌঁছানোর খবরও নতুন নয়।
তবে এবারের বাজেটের আগে এমন পরিস্থিতির দেখা মেলেনি।
রিকন্ডিশন্ড বা একবার ব্যবহৃত গাড়ি আমদানির ওপর এবার নতুন করে শুল্কহার যেমন আরোপ করা হয়নি, তেমনি কমানোও হয়নি।
এই ধরনের গাড়ি আমদানিতে ব্যবসায়ীদের প্রথম দাবি ছিল সিসি অনুযায়ী স্ল্যাব বা বিন্যাস করার। সেটিও পূরণ হয়নি। ফলে বাজেটের পর গাড়ির দাম নতুন করে বাড়বে না বলেই মনে করছেন খাত সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
রিকন্ডিশন্ড গাড়ি ব্যবসায়ীদের সংগঠন বারভিডার নির্বাচিত পরিচালক হাবিবুর রহমান সকাল সন্ধ্যাকে বলেন, “আমরা বাজেটের আগে রাজস্ব বোর্ডে যে প্রস্তাব রেখেছিলাম তার একটিও পূরণ হয়নি। ফলে আমরা হতাশ। কিন্তু আবার উদ্বিগ্ন নই কারণ নতুন করে শুল্কারোপ হয়নি। এই অবস্থায় রিকন্ডিশন্ড গাড়ির দাম নতুন করে বাড়ার সুযোগ নেই।”
ফোর হুইলার্সের কর্ণধার হাবিবুর রহমান বলেন, রিকন্ডিশন্ড গাড়ি এখন আর বিলাস পণ্য নেই বরং প্রয়োজনীয় পণ্যে পরিণত হয়েছে। সেটি ক্রেতার নাগালের মধ্যে রাখতে আমরা কিছু প্রস্তাব দিয়েছিলাম। সেই প্রস্তাব আমলে নেওয়া হয়নি।
আগে রিকন্ডিশন্ড গাড়ি আমদানিতে অবচয় সুবিধা ৩৫ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ করার প্রস্তাব করেছিল বারভিডা। একই সঙ্গে ১০ থেকে ১৫ সিটের মাইক্রোবাসের সম্পূরক শুল্ক প্রত্যাহার করার দাবিও ছিল।
যার কোনোটিই বাজেটে প্রতিফলিত হয়নি।
বাংলাদেশে প্রাইভেট গাড়ির মধ্যে সবচেয়ে বিক্রি হয় টয়োটার ২০১৯ সালের এক্সিও মডেল। এই গাড়ি বর্তমানে বিক্রি হচ্ছে ২৩-২৪ লাখ টাকায়। বাজেটের পরও সেই দাম ঠিক থাকবে। একই ব্র্যান্ডের ২০১৯ সালের প্রিমিও মডেলের গাড়ির বর্তমান বাজারমূল্য ৪০ লাখ টাকার ওপরে, বাজেটের পরেও যা অপরিবর্তিত থাকবে।
ঋণপত্র সংকটের কারণে বেশ কয়েক বছর ধরেই এই খাতে ব্যবসা মন্দা যাচ্ছিল। এর মধ্যে ডলার সংকট এবং টাকার অবমূল্যায়নের কারণে গত দুই বছরে প্রতিটি রিকন্ডিশন্ড গাড়ির দাম বেড়েছে। ফলাফল হিসেবে ক্রেতা কমেছে। বরং সেই তুলনায় বেড়েছে নতুন গাড়ির বাজার।