কখনও ফিস্ট করেছেন। কখনও জায়গা ছেড়ে বেরিয়ে এসে বল ক্লিয়ার করেছেন। দুই ম্যাচ পর মাঠে নেমে আবাহনীর গোলরক্ষক মিতুল মারমা নিজের জাত চেনালেন। স্পষ্ট করে বললে মিতুলের কারণেই প্রথম পর্বের শেষ ম্যাচে ব্রাদার্স ইউনিয়নের সঙ্গে গোলশূন্য ড্র করেছে আবাহনী।
এই ড্রয়ে ৯ ম্যাচে ২০ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে আবাহনী। সমান ম্যাচে ব্রাদার্স ১৫ পয়েন্টে পঞ্চম স্থানেই রয়েছে।
শনিবার মুন্সীগঞ্জে বীরশ্রেষ্ঠ ফ্লাইট লে.মতিউর রহমান স্টেডিয়াম প্রথমার্ধে ব্রাদার্স মাঝমাঠে দাপট দেখিয়েছে। অ্যাটাকিং থার্ডে গিয়ে ব্রাদার্সের ফরোয়ার্ডরা আতঙ্ক ছড়ালেও মিতুল মারমার কঠিন পরীক্ষা নিতে পারেনি। ম্যাচের সেরা খেলোয়াড়ও হয়েছেন মিতুল।
৭ মিনিটে আবাহনী প্রথম সুযোগ হারায়। ডান প্রান্ত দিয়ে শাহরিয়ার ইমনের ক্রসে মোহাম্মদ ইব্রাহিম লাফিয়ে হেড করলেও পোস্টে লাগে।
৩৭ মিনিটে কিংসলের সঙ্গে বল নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন মিতুল মারমা। রেফারি সায়মন সানি কিংসলেকে হলুদ কার্ড দেখান। তাতে করে ডাগ আউট থেকে বেরিয়ে ব্রাদার্স ইউনিয়নের ম্যানেজার আমের খান ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এক পর্যায়ে তো বলেই ফেলেন, “লাল কার্ড দেখালেই পারতো।” টেলিভিশনের রিপ্লেতে দেখা যায় পাশে থাকা গাম্বিয়ান কোচ ওমর সিসেও ক্ষুব্ধ।
বিরতি পর আবাহনী গুছিয়ে খেলার চেষ্টা করে। সুযোগও আসে। কিন্তু কাজে লাগাতে পারেনি কেউ।
৭৩ মিনিটে শাহিনের ক্রসে এনামুল গাজী বক্সের ভেতরে ফাঁকায় থাকলেও বলের কাছাকাছি যেতে পারেননি। শেষ ১০ মিনিটে ব্রাদার্স ছিল অপ্রতিরোধ্য। মিতুলের পরীক্ষা নিয়েছেন ব্রাদার্স ফরোয়ার্ডরা।
৮০ মিনিটে কামরুলের ফ্রি-কিকে মিতুল বল তালুবন্দী করেন। দুই মিনিট পর রহমত মিয়ার লং রেঞ্জ শট মিতুল পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসে ক্লিয়ার করেন। ৮৯ মিনিটে কৌশিক বড়ুয়ার ফ্রি-কিক সরাসরি পোস্টে যাওয়ার আগেই মিতুল মারমা আলতো ছোঁয়ায় ক্লিয়ার করে দলকে বাঁচিয়ে দেন।
দিনের অন্য ম্যাচে কিংস অ্যারেনাতে ফর্টিস এফসি ১-০ গোলে চট্টগ্রাম আবাহনীকে হারিয়েছে। ৩৪ মিনিটে গাম্বিয়ান ডিফেন্ডার ইসা জালো একমাত্র জয়সূচক গোলটি করেন।