Beta
শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫
Beta
শুক্রবার, ২১ ফেব্রুয়ারি, ২০২৫

এসি মিলানের বিদায়, শেষ বেলার গোলে বায়ার্নের রক্ষা

৫১তম মিনিটে লাল কার্ড দেখেন মিলানের থিও হের্নান্দেস। ছবি : এক্স
৫১তম মিনিটে লাল কার্ড দেখেন মিলানের থিও হের্নান্দেস। ছবি : এক্স
[publishpress_authors_box]

সাতবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতেছে এসি মিলান, যা রিয়ালের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। ইতালির ঐতিহ্যবাহী সেই দল এখন নিজেদের ছায়া। ২০১৩-১৪ মৌসুমের পর কেবল একবার (২০২২-২৩) শেষ ১৬-য় জায়গা করতে পেরেছিল তারা।

 মিলান ব্যর্থতাটা পেছনে ফেলতে পারল না এবারও। নিজেদের মাঠে প্লে-অফের দ্বিতীয় লেগে ফেইনুর্ডের সঙ্গে ১-১ গোলের ড্রতে ছিটকে গেল তারা। দুই লেগ মিলিয়ে ২-১ অগ্রগামিতায় নতুন ফরম্যাটের চ্যাম্পিয়নস লিগের শেষ ১৬-তে ফেইনুর্ড।

৫১ মিনিটে লাল কার্ড দেখেছিলেন মিলানের থিও হের্নান্দেস। এই ধাক্কাটা কাটিয়ে উঠতে পারেনি তারা। তাতে ১৯৭৪ সালের পর এই প্রথম ইউরোপের শীর্ষ ক্লাব প্রতিযোগিতার শেষ ষোলোয় উঠল ফেইনুর্ড। 

ফল

মিলান ১ : ১ ফেইনুর্ড

(দুই লেগ মিলিয়ে ফেইনুর্ডের অগ্রগামিতা ২-১)

আতালান্তা ১ : ৩ ব্রুগা

(দুই লেগ মিলিয়ে ক্লাব ব্রুগার অগ্রগামিতা ৫-২)

বায়ার্ন ১ : ১ সেল্টিক

(দুই লেগ মিলিয়ে বায়ার্নের অগ্রগামিতা ৩-২)

বেনফিকা ৩ : ৩ মোনাকো

(দুই লেগ মিলিয়ে বেনফিকার অগ্রগামিতা ৪-৩)

প্লে-অফের দ্বিতীয় লেগের অপর ম্যাচে সেল্টিকের হৃদয় ভেঙে শেষ ১৬-তে জায়গা করে নিয়েছে বায়ার্ন মিউনিখ। প্রথম লেগে ২-১ গোলে এগিয়ে ছিল বায়ার্ন। ফিরতি লেগে সেল্টিক ৬৩ মিনিটে এগিয়ে গিয়েছিল নিকোলাস কুনের গোলে।

৯৪তম মিনিটের গোলে শেষ ১৬ নিশ্চিত করেছে বায়ার্ন।

নির্ধারিত ৯০ মিনিট পর্যন্ত সেল্টিক ১-০ ব্যবধানে এগিয়ে থাকায় দুই লেগ মিলিয়ে ম্যাচে তখন ২-২ সমতা। যখন মনে হচ্ছিল খেলা গড়াবে অতিরিক্ত সময়ে তখনই বাজিমাত বায়ার্নের। ইনজুরি টাইমের চতুর্থ মিনিটে অলফন্সো ডেভিসের গোলে ১-১ সমতা ফেরায় তারা।

গোরেৎস্কার শট আটকে দিলেও বিপদমুক্ত করতে পারেননি স্মাইকেল। আলগা বল একজন ক্লিয়ার করার চেষ্টা করেও পারেননি। ডেভিসের পায়ে লেগে বল পেরিয়ে যায় গোললাইন । উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে আলিয়াঞ্জ অ্যারেনা। দুই লেগ মিলিয়ে ৩-২ অগ্রগামিতায় শেষ ১৬-র টিকিট পায় বায়ার্নই।

ইতালির আতালান্তা ৩-১ গোলে হেরেছে ক্লাব ব্রুগার কাছে। দুই লেগ মিলিয়ে ৫-২ অগ্রগামিতায় শেষ ষোলতে ব্রুগা। বেনফিকা-মোনাকোর রোমাঞ্চকর অপর ম্যাচটি ড্র হয়েছে ৩-৩ গোলে। দুই লেগ মিলিয়ে ৪-৩’এ এগিয়ে থেকে শেষ ১৬-য় জায়গা করে নিয়েছে বেনফিকা।

প্রথম লেগে ১-০ গোলে পিছিয়ে থাকায় এসি মিলানকে জিততে হত ২-০ ব্যবধানে। সেই লক্ষ্যে ৩৬ সেকেন্ডে সান্তিয়াগো হিমিনেসের গোলে এগিয়েও যায় তারা। ইউরোপিয়ান প্রতিযোগিতার ইতিহাসে দ্বিতীয় খেলোয়াড় হিসেবে একই মৌসুমে হিমিনেস যে দলের হয়ে লিগ পর্বে গোল করেছেন, ক্লাব পাল্টানোর পর গোল করলেন সেই দলের বিপক্ষেও।

ম্যাচ জুড়ে ফেইনুর্ডের পোস্টে ১৮টি শট নিয়ে লক্ষ্যে ৭টি রেখেছিল মিলান। কিন্তু ৫১তম মিনিটে থিও হের্নান্দেসের লাল কার্ডের ধাক্কাটা কাটিয়ে উঠতে পারেনি তারা।

১০ জনের মিলানের বিপক্ষে ৭৩ মিনিটে সমতা ফেরান জুলিয়ান কারাঞ্জা। যোগ করা সময়ের ৭ মিনিটে লাল কার্ড দেখেন ফেইনুর্ডের রাইটব্যাক জিভাইরো রিড। সেটা অবশ্য ম্যাচের ফলে কোনো প্রভাব রাখেনি।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত