Beta
রবিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২৫
Beta
রবিবার, ৫ জানুয়ারি, ২০২৫

অর্থ আত্মসাৎ : কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যানসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা

SS-DUDOK-ACC-Anti-Corruption-Commission-020424
[publishpress_authors_box]

সাউথইস্ট ব্যাংক থেকে ঋণের নামে ৫২৬ কোটি ৭০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পাঠান ও সাউথইস্ট ব্যাংকের পাঁচ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১ এ সংস্থাটির উপপরিচালক আজিজুল হক বাদী হয়ে মামলা দুটি করেন বলে কমিশনের মহাপরিচালক (ডিজি) মো. আক্তার হোসেন জানান।

সাউথইস্ট ব্যাংকের ২০১৬ সালের আর্থিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০১৫ সালে কেয়া গ্রুপের সবকটি কোম্পানির কাছে ব্যাংকটির ঋণের পরিমাণ ছিল ৯১২ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে ফান্ডেড ঋণ ৩৫১ কোটি ২১ লাখ ও নন-ফান্ডেড ৫৬১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা। পরে এ বিষয়ে অনুসন্ধানে নামে দুদক।

একটি মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের প্রধান কার্যালয় থেকে কোনও প্রকার ঋণ অনুমোদন ছাড়াই ক্ষমতার অপব্যবহার করে ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে কেয়া গ্রুপের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের নামে ৪৯৮ কোটি ৩৮ লাখ টাকা উত্তোলন করে আসামিরা পরস্পর যোগসাজশে আত্মসাৎ করেন।

এ ঘটনায় কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পাঠান, সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের তৎকালীন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও গুলশান শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ক্রেডিট ইনচার্জ মো. মোর্শেদ আলম মামুন, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও শাখা প্রধান মো. রেজওয়ানুল কবির, সিনিয়র অ্যাসিস্ট্যান্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট ও এক্সপোর্ট ইনচার্জ অমীয় কুমার মল্লিক ও এসএভিপি অ্যান্ড এক্সপোর্ট ইনচার্জ মো. আশরাফুল ইসলামকে আসামি করা হয়।

আরেক মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা ক্ষমতার অপব্যবহার করে সাউথইস্ট ব্যাংকের গুলশান শাখা থেকে ২৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন।

এ মামলাতেও কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পাঠানের পাশাপাশি অন্যান্যদের মধ্যে সাউথইস্ট ব্যাংক লিমিটেডের তৎকালীন সিনিয়র এক্সিকিউটিভ ভাইস প্রেসিডেন্ট ও গুলশান শাখার ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম, ভাইস প্রেসিডেন্ট ও ক্রেডিট ইনচার্জ মো. মোর্শেদ আলম মামুন ও এসএভিপি অ্যান্ড এক্সপোর্ট ইনচার্জ মো. আশরাফুল ইসলামকে আসামি করা হয়েছে।

দুই মামলায় আসামিদের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪০৯/১০৯ ধারা এবং ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলাগুলো করা হয়েছে।

এর আগে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে ১৮৩ কোটি ৮৪ লাখ ৮০ হাজার ২৬৪ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জন এবং ৯৬ কোটি ২৯ লাখ ৭২ হাজার ৭৩৯ টাকার সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে কেয়া গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুল খালেক পাঠান ও তার পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে ৫টি মামলা করে দুদক।

সাবেক এমপি ছেলুনের বিরুদ্ধে মামলা

অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে চুয়াডাঙ্গা-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার (ছেলুন) ও তার স্ত্রী আকতারী জোয়ার্দ্দারের বিরুদ্ধে দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

বৃহস্পতিবার দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১ এ মামলা ‍দুটি দায়ের করা হয়েছে বলে জানান কমিশনের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন।

এক মামলায় চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছেলুনের বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঘুষ ও দুর্নীতির মাধ্যমে ৭ কোটি ৫৫ লাখ ৫২ হাজার ৭৯১ টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আনা হয়েছে।

এছাড়া তার বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ১৫ কোটি ৭১ লাখ ৩৫ হাজার ৫৫৮ টাকা জমা ও ৯ কোটি ৬৩ লাখ ৩৬ হাজার ৫২৮ টাকা উত্তোলন করে তা স্থানান্তর, হস্তান্তর করে ও বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগের নামে রূপান্তর করে মানিলন্ডারিং সংক্রান্ত অপরাধ করেছেন বলেও অভিযোগ আনা হয়েছে।

অন্য এক মামলায় সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দারের স্ত্রী আকতারী জোয়ার্দ্দারের ৪ কোটি ৮০ লাখ ৪৯ হাজার টাকা জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে স্বামী-স্ত্রী দুইজনকেই আসামি করা হয়েছে। আকতারী তার স্বামী সোলায়মান হকের সহায়তায় দুর্নীতির মাধ্যমে এই অবৈধ সম্পদ গড়েছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়। এ জন্য আকতারী জোয়ার্দ্দারের পাশাপাশি সোলায়মান হক জোয়ার্দ্দার ছেলুনকেও আসামি করা হয়েছে।

এছাড়া আকতারী জোয়ার্দ্দারের বিরুদ্ধে বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে ৭ কোটি ৬০ লাখ ৬৪ হাজার টাকা জমা ও ৫ কোটি ২০ লাখ ২৫ হাজার ৯২২ টাকা উত্তোলন, স্থানান্তর, হস্তান্তর করে ও বিভিন্ন ব্যবসায় বিনিয়োগের নামে রূপান্তর করে মানিলন্ডারিং করেছেন বলে অভিযোগ আনা হয়েছে।

দুই মামলাতেই আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন- ২০০৪ এর ২৭(১) ধারা এবং মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন- ২০১২ এর ৪(২) ও ৪(৩) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।

আরও পড়ুন

সর্বশেষ

সর্বাধিক পঠিত