ক্ষমতার অপব্যবহারের মাধ্যমে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু, রাজশাহী সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন এবং সাবেক আরও আট এমপির বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
এছাড়া আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগারওয়াল ও বাংলাদেশ জুয়েলার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সভাপতি এনামুল হক দোলনের বিরুদ্ধে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুদকের মহাপরিচালক (প্রতিরোধ) মো. আক্তার হোসেন সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, “সাবেক বিদ্যুৎ ও জ্বালানী প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপু ও অন্যান্যের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বিদ্যুৎ খাতে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানের জন্য কমিশন থেকে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
“এছাড়া সাবেক রাজশাহী সিটি করপোরেশন সাবেক মেয়র এ এইচ এম খায়রুজ্জামান লিটন এবং সাবেক আট জন সংসদ সদস্যের বিরুদ্ধে ওঠা দুর্নীতির অভিযোগও অনুসন্ধান শুরু করেছে দুদক।”
এই আট এমপির বিরুদ্ধে ৬ হাজার কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ আলাদাভাবে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে জানিয়ে দুদকের মহাপরিচালক আক্তার বলেন, “তাদের নামে হাজার কোটি টাকার সম্পদ রয়েছে। ওই সম্পদ রেখে তারা আত্মগোপনে চলে গেছেন।”
যাদের বিরুদ্ধে অনুসন্ধান শুরু হয়েছে তারা হলেন, রাজশাহী-১ আসনের সাবেক এমপি শাহরিয়ার আলম, রাজশাহী-৩ আসনের সাবেক এমপি ওমর ফারুক চৌধুরী, ফজলে হোসেন বাদশা ও আয়েন উদ্দিন।
এছাড়া রাজশাহী-৫ আসনের সাবেক এমপি আসাদুজ্জামান আসাদ ও দারা মনসুর, রাজশাহী-৪ আসনের সাবেক এমপি এনামুল হক এবং রাজশাহী-৪ ও ৮ এর সাবেক সংসদ সদস্য আবুল কালাম আজাদ।
দুদক কর্মকর্তা আক্তার হোসেন বলেন, “আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগারওয়াল ও বাজুসের সাবেক সভাপতি এনামুল হক দোলনের বিরুদ্ধে সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সোনা চোরাচালান করে আওয়ামী লীগ আমলে হাজার কোটি টাকার মালিক হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।”