ব্যবসায়ী আব্দুল হত্যা মামলায় সাত দিনের রিমান্ড শেষ হতেই এবার এক কিশোর হত্যা মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হচ্ছে গোয়েন্দা পুলিশের লালবাগ বিভাগের সাবেক ডিসি মশিউর রহমাকে।
ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে গত ৪ আগস্ট ঢাকার জিগাতলা বাস স্ট্যান্ড এলাকায় নিহত হয় মিছিলে থাকা কিশোর আবদুল মোতালেব। তার হত্যা মামলাতেও আসামি পুলিশের সাবেক এই কর্মকর্তা। এ মামলাতেই তাকে নতুন করে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি পেয়েছে পুলিশ।
যদিও আদালতে মশিউর রহমান দাবি করেছেন, ঘটনার দিন তিনি মাঠেই ছিলেন না। সেই সঙ্গে কর্মজীবনে কোন কোন অপরাধী ধরেছেন, আলোচিত কোন মামলার রহস্য উদঘাটন করেছেন; সেসব নিয়েও কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার ঢাকার মহানগর হাকিম ফারজানা শাকিলা সুমু চৌধুরীর আদালতে তোলা হয়েছিল মশিউর রহমানকে।
নিউ মার্কেট থানা এলাকায় ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় সাত দিনের রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়েছিল। সেই সঙ্গে কিশোর মোতালেব হত্যা মামলায় আরও ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক নজরুল ইসলাম।
শুনানিতে দুই পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শেষে কথা বলার অনুমতি চান মশিউর রহমান।
ঢাকা কমার্স কলেজে শিক্ষকতা দিয়ে চাকরি জীবন শুরু করেছিলেন জানিয়ে তিনি আদালতকে বলেন, “চাকরিজীবনে আবরার হত্যা মামলায় রহস্য উদঘাটন করেছি। ছাত্রলীগ নেতাদের অস্ত্রসহ ধরেছি।”
যে মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে ঘটনায় তিনি মাঠেই ছিলেন না বলে দাবি করেন। এও বলেন, “এর আগেও আমাকে গায়েবি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।”
তবে শুনানি শেষে বিচাকর মশিউর রহমানকে সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আদেশ দেন।
গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে ঢাকা থেকে মশিউর রহমানকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ। পরদিন ব্যবসায়ী আব্দুল ওয়াদুদ হত্যা মামলায় তার সাত দিনের জন্য রিমান্ডে নেওয়া হয়। সেই রিমান্ড শেষ হতেই নতুন মামলায় রিমান্ডে নেওয়া হলো তাকে।
৪ আগস্ট মিছিলে গুলিব্ধি হয়ে কিশোর আবদুল মোতালেব নিহদের ঘটনায় ২৬ আগস্ট ধানমণ্ডি থানায় মামলা হয়। নিহত কিশোরের বাবা আব্দুল মতিনের করা ওই মামলার আসামি সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, সাবেক সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ ১৭৬ জন। এছাড়া অজ্ঞাতানামা হিসেবে ২৫০ থেকে ৩০০ জনকেও আসামি করা হয়।